প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১৮:৯
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে জানানো হয়েছে, অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের ১৬টি উপকূলীয় জেলা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়ালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলাসহ এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে। সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারের প্রতি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দ্রুত উত্তরের দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে এবং ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল বায়ুর প্রভাব নিয়ে স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকায় অবস্থিত মানুষদের ঝুঁকি এড়াতে উপরের স্থানগুলোতে সরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীরা জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছেন।
জলোচ্ছাষ ও নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া সম্ভাব্য বিপর্যয় মোকাবিলায় জনসাধারণকে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত আপডেট নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
আসন্ন ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষায় সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।