বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের নামে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না। ভোটারের পছন্দ অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে, এটাই জনগণের প্রত্যাশা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ওলামা দলের রাজশাহী বিভাগীয় কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জনগণের প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে অন্য কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে, তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না। দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে সরকারকে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।”
শেখ হাসিনার সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ভারতের সহযোগিতায় রাষ্ট্রকে অপরাধী বানানোর পথ তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাও ধ্বংস করেছেন তাদের সহায়তায়। গত ১৫ বছরে মানুষ কথা বললেই গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে আলেমরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যে সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে, সেই সরকারকে জনগণ কখনো মেনে নেবে না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনই দেশের মানুষের একমাত্র দাবি।”
সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল রহমান চন্দনসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী তার বক্তব্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গণতন্ত্রের সংকট, এবং সরকারের নীতির কড়া সমালোচনা করেন। তিনি জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে আন্দোলন জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এই সভা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ হিসেবে দেখা হয়েছে, যেখানে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানা পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।