কুড়িগ্রামের উলিপুর থানায় এক সালিশি বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন পৌর যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম (৩৯)। ২৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার থানা চত্বরে এক বিবাহজনিত সমস্যা নিয়ে মীমাংসা করতে বসে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হামলা শুরু হলে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। আশরাফুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে দ্রুত উলিপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আশরাফুল ইসলাম পৌরসভার কাজিরচর এলাকার ডিস ব্যবসায়ী আয়নাল হকের একমাত্র ছেলে ছিলেন। তার মৃত্যুর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষুব্ধ যুবদল কর্মীরা প্রতিপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। নিহতের বাবা আয়নাল হক শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) উলিপুর থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানান, ঘটনার সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন, তবে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি থানার বাইরে ঘটেছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছে।
উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল অভিযোগ করেছেন যে, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশরাফুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করেন। যদিও এ অভিযোগের ব্যাপারে আব্দুল খালেক এখনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে, নিহতের জানাজা নামাজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বাদ আসর পাগলাকুড়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়, এবং তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।