আলোচনা, স্মৃতিচারণা এবং আবৃত্তির মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হলো নওগাঁর প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক রফিকুদ্দৌলা রাব্বীকে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নওগাঁ কৃষ্ণধন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত নাগরিক স্মরণসভায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রফিকুদ্দৌলা রাব্বী স্মরণসভা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ময়নুল হক দুলদুল। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কবি মনোয়ার লিটন।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, রফিকুদ্দৌলা রাব্বী একজন সরকারি কর্মচারী হলেও নওগাঁর মানুষের কাছে তিনি একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে অধিক পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত এই শিল্পী তাঁর মেধা ও মননের মাধ্যমে নওগাঁর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, রফিকুদ্দৌলা রাব্বী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আবৃত্তি পরিষদ নওগাঁর সাধারণ সম্পাদক এবং একুশে পরিষদ নওগাঁর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি কবি শাহ আলম চৌধুরী চারুপাঠ, হাতেখড়ি নওগাঁ, সংগীত নিকেতন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নওগাঁ জেলা শাখা এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর কণ্ঠে কবিতার শব্দ ও ছন্দ এক অন্যরকম আবেগ নিয়ে ফুটে উঠত।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণা করেন কবি ও গবেষক আতাউল হক সিদ্দিকী, সাবেক অধ্যাপক তৌহিদ আহমদ, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, আবৃত্তি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি নবির উদ্দিন, সাংবাদিক ফরিদুল করিম তরফদার, প্যারিমোহন সাধারণ গ্রন্থাগারের সভাপতি কাজী জিয়াউর রহমান বাবলু, এবং একুশে পরিষদ নওগাঁর সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল মেহমুদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা রফিকুদ্দৌলা রাব্বীর সাংস্কৃতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, তাঁর সৃজনশীল কাজ ও আবৃত্তি আজীবন প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। তাঁর শূন্যতা নওগাঁর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন অনুভূত হবে।
স্মরণসভা আবৃত্তি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং রফিকুদ্দৌলা রাব্বীর ভক্তরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।