পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতাদের রিরুদ্ধে দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতাদের রিরুদ্ধে দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠী এলাকায় দরিদ্র কৃষক মো. সেকান্দার আলীর রোপণ করা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জমির মালিকানা নিয়ে চলমান একটি মামলার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।


বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মো. সেকান্দার আলী অভিযোগ করেন, তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ৫৯ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায়, গত ২৩ ডিসেম্বর স্থানীয় বিএনপি নেতারা তার জমির কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যায়। তিনি জানান, বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. ফয়েজ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যক্তি এই কাজ করেছে।


সেকান্দার আলী বলেন, "স্থানীয় ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায় বিএনপি নেতা মো. নাসির হাওলাদার ওই জমি দুই বছরের জন্য লিজ নেন। এরপর জমির ধান কেটে বিক্রি করা হয়।"


এ বিষয়ে সেকান্দার আলী পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ অভিযুক্তদের ধান কাটার কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে সেকান্দার আলী আরও অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। তার মা সুফিয়া বেগম এবং ভাইয়ের স্ত্রী মোসেদা বেগমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।


জমি সংক্রান্ত বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি জানান, পূর্ব জৈনকাঠী মৌজার এসএ ৮৬১ ও আরএস ১২৮৮ খতিয়ানভুক্ত জমি ইমাম উদ্দিনের ওয়ারিশদের নামে রেকর্ড হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ভুলবশত এটি রাজেশ্বর গংদের নামে রেকর্ড হয়। তার বাবা ২০১২ সালে এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা এখনও বিচারাধীন।


অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি এ.বি.এম ফয়েজ ভূঁইয়া বলেন, "নাসির হোসেন পিন্টু সরকারের কাছ থেকে ওই জমি লিজ নিয়েছেন এবং সেই জমির ধান কেটে নিয়েছেন।" তবে তিনি স্বীকার করেন যে, নাসির হোসেন ধান রোপণ করেননি। বর্তমানে ধান মোস্তফা সরদারের কাছে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।


সেকান্দার আলী প্রশাসন ও গণমাধ্যমের কাছে ন্যায়বিচারের জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, "আমাদের বসতবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আমাদের বাঁচানোর জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।"


এদিকে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে এলাকা ছেড়ে না গেলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।