ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩নং আকচা ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ এক যুগ নয়, পাঁচ দশক ধরে অপেক্ষা করছে একটি ব্রিজের জন্য। প্রতিটি নির্বাচনে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রার্থীরা এলাকার প্রধান দাবি হিসেবে টাঙ্গন নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। নদীর দুই পাশে রয়েছে পাকা সড়ক, কিন্তু মাঝখানের সংযোগ না থাকায় এখনও বাঁশের নড়বড়ে সাঁকোই ভরসা।
জানা যায়, ঝাকুয়াপাড়া, সেনপাড়া, পালপাড়া, বাগপুর, সিংপাড়া, সর্দারপাড়া, চরঙ্গী, দক্ষিণ ও উত্তর বঠিনা—এই ১০টি গ্রামের মানুষ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। বর্ষায় নদী উত্তাল হলে নৌকাই একমাত্র মাধ্যম, আর শুষ্ক মৌসুমে দুর্বল বাঁশের সাঁকো। এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, মুমূর্ষু রোগী ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়ে বিপদে পড়ছেন স্বজনরা। কৃষিপণ্য পরিবহন, ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজ—সব কিছুতেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাধারণ কৃষক শহিদুল, বৃদ্ধা কিরণ বালা ও সাকো পার হওয়া স্কুলছাত্রীদের বক্তব্যে উঠে আসে একই যন্ত্রণা—“নির্বাচনের সময় অনেক স্বপ্ন দেখানো হয়, তারপর তারা আর আসে না।”
বিগত সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে রমেশ চন্দ্র সেন—বড় বড় রাজনৈতিক নেতা এলেও কেউ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সফল হননি। স্থানীয়দের মতে, ১৯৯৮ সাল থেকে মাপামাপি চলছে, প্রকল্প হয়—কিন্তু কাজ শুরু হয় না।
প্যানেল চেয়ারম্যান শিমলা রানী বলেন, “এটি এখন শুধু দাবি নয়, জরুরি প্রয়োজন। সরকারের কাছে অনুরোধ, ব্রিজটি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।”
এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস জানান, “আমরা সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। প্রস্তাব একনেকে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজ নির্মাণ শুরু হবে।”