বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় ৭২৫ জন সেনাসদস্য আগামী দুই মাসের মধ্যে কাতারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের সামরিক অবদান আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থানরত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, এই সেনা নিয়োগ প্রক্রিয়া আগামী দিনগুলোতে নিয়মিত ভিত্তিতে চালু থাকবে এবং প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর এই সংখ্যা বজায় থাকবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনায় রয়েছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই কাতার সরকার বাংলাদেশি সেনা সদস্যদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে এবং নিয়মিতভাবে তাদের নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এই ঘোষণাটি আসে এমন এক সময়ে, যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল দোহায় 'আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে' অংশ নিচ্ছে। এই সফরে কাতার সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপারসনের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি ও উন্নয়ন সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেনা সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে, এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মহল মনে করছে, এটি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করবে এবং ভবিষ্যতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাতারে এই সেনাসদস্য নিয়োগের মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হবে এবং কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুধু নিরাপত্তা নয়, বরং প্রশিক্ষণ, লজিস্টিকস ও প্রশাসনিক সহায়তায়ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ করে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।