নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে অটোরিকশায় মারধরের পর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত

নাটোরের নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, নাটোর জেলা শাখার অধীন নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। দ্রুত সময়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০ এপ্রিল, রোববার দুপুরে, শহরের কানাইখালী এলাকায়। সেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে চলন্ত অটোরিকশার পা-দানিতে ফেলে মারধর করেন। এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়, যা নিয়ে তীব্র আলোচনা সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কদরের পিঠে পা দিয়ে মারধর করা হচ্ছে এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাকে ঘোরানো হয়, যেখানে গানের আওয়াজও শোনা যায়। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এ ঘটনার পর, বিষয়টি তদন্তে নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তদন্তের ফলে, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়েরসহ আরও কয়েকজন নেতার নাম উঠে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন সৃজন জানান, এই ধরনের ঘটনা দল থেকে কোনোভাবেই সমর্থন পায় না। ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করা বা কোনো অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দল থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

এ ঘটনায়, আহত ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরের বাবা খায়রুল আলম সোমবার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়ের, নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রিমন, সাধারণ সম্পাদক নাঈমসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং এর প্রেক্ষিতে শীর্ষ নেতারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।