'আগামী কাল থেকে মহা বিপদের দিন শুরু তাই ঘরে থাকুন'

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৯শে মার্চ ২০২০ ০৮:০৪ অপরাহ্ন
'আগামী কাল থেকে মহা বিপদের দিন শুরু তাই ঘরে থাকুন'

 ইতিমধ্যে আমরা যেনে গেছি বুঝে গিয়েছি যে, সারা বিশ্ব একটি কঠিন বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।এই বিপদের নাম করোনা ভাইরাস , যার নেই কোন ওষুধ নেই কোন প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত।একমাত্র সচেতনা আর প্রতিরোধের কৌশল কেবল বাঁচিয়ে দিতে পারে আপনাকে আপনার পরিবারকে এমনকি আপনার সোসাইটিকে।পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতির দেশ আমাদের দেশ ।আমাদের দেশে এই করোনা মহামারি আকার ধারন করতে পারে।


কারন আমাদের রয়েছে প্রচুর অসচেতনতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, গুজব বিশ্বাস করে, সৃষ্টিকর্তা দোহাই দিয়ে এভাবে আল্লাহই ভালো করবে বলে গা ভাসিয়ে দিয়ে চলার কারনে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছি আমরা।আর একটু বিশ্লেষণ করলে দেখবেন পৃথিবীতে কোথাও আড্ডা বা গন-জমায়েত নেই কিন্তু আমাদের দেশে তা চলমান।প্রতিদিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেগ পেতে হচ্ছে মানুষকে ঘরে রাখতে।তাই "ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন, আপনার জন্য না হলেও আপনার পারিবারের জন্য থাকুন"।মনে রাখবেন আপনার সচেতনাতে দেশ কে মহা বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দিবে।

বিশ্বের যে শহরগুলোতে এখন মহামারী সবচেয়ে খারাপ তারা এই হিসেবটাকে পাত্তা দেয়নি।আগামীকাল থেকে পরবর্তী সাত দিন খুব সচেতন থাকতে হবে। কোন ভাবেই বাড়ি থেকে বের হবেন না।খাবার কিনতে না, বাজার না, ঘুরতে না, হাটতে না।আগামীকাল থেকে সবচেয়ে বাজে সময়টা শুরু হচ্ছে।করোনা ভাইরাস এর ডিম ফুটানো (২-১৪দিন) শেষের দিকে।এর মধ্যে যাঁরা যাঁরা সংক্রমিত হওয়ার তাঁরা সংক্রমিত হয়ে গেছেন বা হচ্ছেন।এখন যেই বাইরে বের হবে এবং আক্রান্তদের কাছাকাছি বা মুখোমুখি হবে তার বিশাল ঝুঁকি রয়েছে আক্রান্ত হবার।

সুতরাং ঘরে থাকাটা খুবই জরুরী।সচেতন থাকাটা খুবই জরুরী কেননা আগামীকাল থেকে সময়টা খুবই সংকটময়।৭ই এপ্রিল পর্যন্ত আমরা নিজেরা নিজেদের খেয়াল রাখব। এই ভাইরাসের তাণ্ডব দু সপ্তাহ অবধি বেশি থাকে।এরপর এটা কিছুটা শান্ত হয় এবং শক্তি হারাতে থাকে।ইতালিতে কি হয়েছিল তারা এই রোগ সংক্রমনের দুই সপ্তাহকে কোনভাবে পাত্তা দেয় নেই আর আজ তাঁদের কি অবস্তা তা আমরা প্রতিদিনই খবর পাচ্ছি।

একটা বিশ্লেষণ দেখুন এভাবে ৩, ৩, ৩, ৩, ৪, ২১, ৭৯, ১৫৭, ২২৯, ৩২৩, ৪৭০, ৬৫৫, ৮৮৯, ১১২৮, ১৭০১, ২০৩৬, ২৫০২, ৩০৮৯, ৩৮৫৮, ৪৬৩৬, ৫৮৮৩, ৭৩৭৫, ৯১৭২, ১০১৪৯, ১২৪৬২, ১৫১১৩, ১৭৬৬০, ২১১৫৭, ২৪৭৪৭, ২৭৯৮০, ৩১৫০৬, ৩৫৭১৩, ৪১০৩৫, ৪৭০২১, ৫৩৫৭৮, ৫৯১৩৮, ৬৩৯২৭, ৬৯১৭৬, ৮০১২২ আজ এতো আক্রান্ত।এগুলো ছিল ইতালিতে গত ৩৮ দিনে দৈনিক মোট আক্রান্তের সংখ্যা।৩৮ দিন আগে যেখানে আক্রান্ত ছিলো মাত্র ৩ জন, সেই ইতালি আজ ৩৮ দিনের ব্যবধানে লণ্ডভণ্ড।প্রশাসন কিংবা জনগণ কেউ আর রেহাই পাচ্ছে না সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে বয়ো বৃদ্ধরা।

আসুন, এবার সুপার পাওয়ার আমেরিকার ৩৮ দিনের সংখ্যাগুলো দেখে নিই ঃ ১৫, ১৫, ১৫, ১৫, ১৫, ৩৫, ৩৫, ৩৫, ৫৩, ৫৭, ৬০, ৬০, ৬৩, ৬৮, ৭৫, ১০০, ১২৪, ১৫৮, ২২১, ৩১৯, ৪৩৫, ৫৪১, ৭০৪, ৯৯৪, ১৩০১, ১৬৩০, ২১৮৩, ২৭৭০, ৩৬১৩, ৪৫৯৬, ৬৩৪৪, ৯১৯৭, ১৩৭৭৯, ১৯৩৬৭, ২৪১৯২, ৩৩৫৯২, ৪৩৭৮১, ৫৪৮৮১, ৮৫৭১২।মাত্র ১৫ দিন আগেও আমেরিকায় আক্রান্ত ছিল ৭০৪ জন, সেই সংখ্যা এখন ৮৫ হাজারের বেশি।এবং চলমান তাঁরা যেমন সুপার পাওয়ার, ঠিক তেমন সুপার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আক্রান্তর সংখ্যা।এতো সচেতন হবার পর তাঁরা রেহাই পাচ্ছে না,ইতিমধ্যে ১০ জন বাঙালি আমিরিকান মারা গিয়েছে।

এবার একটু বাংলাদেশের অবস্থা দেখি ঃ ১, ৩, ৩, ৬, ৮, ৮, ১১, ১৪, ২৪, ২৭, ৩৩, ৩৯, ৪৪, ৪৮ এবং চলমান যদি ও শেষ ২ দিন কোন আক্রান্তর খবর দেই নি সরকার অন্য দেশগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন তো, বাংলাদেশও কি একই পথে হাঁটছে না? শুধু সময়ের ব্যবধান মাত্র ! ৩৮ দিন পর আমাদের অবস্থাও কি ইতালি আমেরিকার মতো হতে পারে না? বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে। কারণ আবারও বলি জনসংখ্যার ঘনত্ব, দরিদ্রতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার ও অসচেতনতা।

আমাদের অবস্তা হবে আরও করুন যদি এখনি সচেতন না হন ,আল্লাহ না করুক তা যেন না হয় , ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি যে সাধারন রোগে বা নরমাল ভাবে যারা মারা গেলো কেউ পাশে যাচ্ছে না এমন কি মাটি বা কবর পর্যন্ত দিতে বাধা দিচ্ছে।তাই দয়া করে সচেতন হন , আজ থেকে ১০ দিন একবারে লক হয়ে বাসায় থাকুন।দরকারি জিনিস কিনে বাসায় লক হয়ে বসুন ,আর সম্ভব হলে গরীবদের সাহায্য করুন।যাদের দরকারি জিনিস কিনে বাসায় নেবার সামর্থ্য নেই তাঁদের জন্য সরকার ইতিমধ্যে মেগা প্রকল্প নিয়েছে ,তাই আশা রাখি সবার সচেতনাতে আমাদের বাঁচিয়ে দিবেন সৃষ্টিকর্তা।

তাই ঘরে থাকুন, ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন।"