মধ্য রাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ইকো রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে সাইরী ইকো রিসোর্টের রিসিপশনে মাল্টিপ্লাগের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সাইরী ইকো রিসোর্ট থেকে আগুন শুরু হয়ে বাতাসের প্রবল গতিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন প্রথমে বীচ ভ্যালী ইকো রিসোর্টে এবং পরে কিংশুক ইকো রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি রিসোর্টগুলো মুহূর্তেই দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে।
দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক এবং যৌথ বাহিনীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। ভোর চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে রিসোর্টগুলো পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়।
কিংশুক ইকো রিসোর্টের মালিক সরওয়ার হোসেন জানান, তার চোখের সামনে তিলে তিলে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি এই ক্ষতির জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক হিসাব এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক লাখ টাকার সম্পদ আগুনে পুড়ে গেছে। স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল মালেক জানান, বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জনগণ ও যৌথ বাহিনী নিরলস চেষ্টা চালায়। তবে কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় রিসোর্টগুলোতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে পর্যটকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বীচ ভ্যালী ইকো রিসোর্ট এবং কিংশুক ইকো রিসোর্টের পাশাপাশি আশেপাশের এলাকায় ছোটখাটো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
দ্বীপে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ না থাকায় এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত রিসোর্টের মালিকরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।