নওগাঁয় খাজনা দেওয়া জমির মালিকানা বাতিলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: বুধবার ৫ই মার্চ ২০২৫ ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
নওগাঁয় খাজনা দেওয়া জমির মালিকানা বাতিলের অভিযোগ

নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া মৌজায় জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সহকারী কমিশনার (ভূমি) খান সালমান হাবীব জমির মালিকানা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ উঠেছে যে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে নিয়মিত খাজনা প্রদান, খারিজ ও দখলে থাকা জমির মালিকানা অবৈধভাবে বাতিল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


জমির মালিকানা বাতিলের বিষয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, ২০০৯ সালে মরহুম আব্দুল বারী নামের এক ব্যক্তি বোয়ালিয়া মৌজার ১৪ শতক এবং ১২ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে কবলা করেছিলেন এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে জমিটি দখল করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তৌহিদুর রহমান প্রিন্স নামক এক ব্যক্তি ১৯৭৪ সালের দলিলের ভিত্তিতে ওই জমির মালিকানা দাবি করেছেন।


এ বিষয়ে শুনানির সময়, আব্দুল বারীর পক্ষের প্রতিনিধিরা জানান, জমিটি আইনানুগভাবে কেনা হয়েছিল এবং তারা নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছেন। তাদের দাবি, জমির মালিকানা বাতিলের সিদ্ধান্তটি ভুল এবং প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে মনগড়া ভাবে নেওয়া হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, সহকারী কমিশনার ভূমি শুনানির দিনে তাদের প্রতি অশোভন আচরণ করেছেন এবং অফিস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।


অন্যদিকে, তৌহিদুর রহমান প্রিন্স জানান, তার কাছে ১৯৭৭ সালের একটি দলিল রয়েছে এবং তিনি সেটি জমির মালিকানা দাবি করতে ব্যবহার করেছেন। তার মতে, আব্দুল বারী ও তার প্রতিনিধি জমির মালিকানা দাবি করে একটি দলিল উপস্থাপন করে কিন্তু সেই দলিল বৈধ নয়।


আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও, নওগাঁ জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার সরকার জানান, এক যুগের বেশি সময় ধরে দখলে থাকা জমির মালিকানা বাতিলের সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হলে তা আইনের পরিপন্থী হতে পারে।


নওগাঁ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খান সালমান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জমির মালিকানা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং আব্দুল বারীর পক্ষের লোকজনকে আপিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।