জামালপুরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের শিল্পকলা একাডেমীতে মঙ্গলবার সকালে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়। এতে বাহিনীর কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। তিনি বাহিনীর বর্তমান কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরে বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সারা দেশে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে এবং প্রতিটি নির্বাচনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও আনসার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের এই অবদান দেশের সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
সমাবেশে বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কল্যাণমূলক সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা জানান, প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে আনসার বাহিনী আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে। পাশাপাশি বাহিনীর সদস্যদের ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিও জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। বক্তারা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ করে গ্রামের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে বাহিনীর কার্যক্রম প্রশংসনীয়।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা আরও বলেন, আনসার সদস্যরা স্বল্প সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য আরও আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে বাহিনীর দক্ষতা বাড়বে। সেই সঙ্গে তাদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকারের সহায়তায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও শক্তিশালী হবে এবং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। ভবিষ্যতে এই বাহিনীর উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সমাবেশ শেষে বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিশেষ অবদানের জন্য কিছু সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সবাই বাহিনীর ভবিষ্যৎ উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।