গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের উত্তর গিদারী গ্রামের আফিল উদ্দিনের ছেলে হাবিল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন। বর্তমানে তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। ২০১৯ সালে তার কিডনি রোগ ধরা পড়ে। প্রথমে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার একটি কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে এবং অন্যটিও ২৭% নষ্ট হয়েছে। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসকরা দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। চিকিৎসার জন্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হলেও অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে।
এরই মধ্যে চিকিৎসার খরচ জোগাতে তিনি তার বসতভিটা ও ২৫ শতাংশ জমি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তার আর্থিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ডাক্তারদের মতে, দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না করা হলে তার জীবন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
হাবিলের পরিবার সমাজের হৃদয়বান, বিত্তবান, শিল্পপতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, সকলের সহযোগিতায় হাবিলের চিকিৎসা সম্ভব হবে এবং তিনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
হাবিলের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, গাজীপুর থানা হেডকোয়ার্টার শাখা, হিসাব নম্বর: ০২১৪৭০১০২৪৭১২। এছাড়াও ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর: ০১৭৪৫৬৪০৯০৭-৬।
হাবিল মিয়া এখনো বাঁচতে চান, সুস্থ হতে চান। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ, কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তবে হয়তো হাবিল নতুন করে জীবন ফিরে পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।