পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। একই রাতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা আবাসিক হলের নামফলক ভেঙে ফেলা হয়।
বুধবার রাতব্যাপী এসব ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এছাড়া পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শেখ রাসেল আবাসিক হলের নামফলক মুছে দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী আলহাজ মোড়ে স্মৃতিস্তম্ভের পাশে নির্মিত ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ নামে পরিচিত একটি স্থাপনাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। জনতার দাবি, ফ্যাসিবাদের সব চিহ্ন মুছে ফেলার লক্ষ্যেই তারা এসব কাজ করেছে।
রাত ৯টার দিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের সামনে থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। শহরের শহীদ চত্বরে এসে শেষ হওয়া মিছিলের পর সেখানে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ ফাহাদ বলেছেন, ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি দেখে যেন ভবিষ্যতে কেউ তা পুনরায় কায়েম করার সাহস না পায়। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহনেওয়াজ জানান, জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় রাজনীতি ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণকারীরা বলছেন, পাবনার এসব ঘটনা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন, যা সামনের দিনগুলোতে আরও বড় পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।