বরিশালে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংবাদিকতা: সংস্কার ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বুধবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) তে এ আয়োজন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দৃক।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের স্মরণে শুরু হওয়া এই আলোচনা সভায় সাংবাদিকরা গণঅভ্যুত্থানের সময়কার কঠিন পরিস্থিতি এবং সংবাদ সংগ্রহে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তারা জানান, মাঠে কাজ করার সময় বিভিন্ন পক্ষের হয়রানি, নিপীড়ন এবং আক্রমণের শিকার হয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য আইডি কার্ড, প্রতিষ্ঠানের লোগো এমনকি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট খুলে রাখতে হয়েছে।
সাংবাদিকরা বলেন, দেশে প্রকৃত জনস্বার্থে সাংবাদিকতার সংকট বিদ্যমান এবং এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। তারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকায় এখনই সাংবাদিকতার সংস্কার কার্যকর করার উপযুক্ত সময়।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষ বলেন, সাংবাদিকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মালিকপক্ষের মুনাফার হাতিয়ার হলে সংবাদমাধ্যমের সংস্কার সম্ভব নয়। তিনি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনকে তৃণমূল সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়া পরিচালনার আহ্বান জানান।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, মফস্বলের সাংবাদিকতা এখনও পেশাগত স্বীকৃতি পায়নি। সাংবাদিকতার মর্যাদা ও আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রতিষ্ঠিত না হলে প্রকৃত সাংবাদিকতার পরিবেশ ফিরবে না।
সাংবাদিকরা তাদের পেশার স্বাধীনতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে আদর্শ ও নৈতিকতার ভিত্তিতে সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরির তাগিদ দেন। তারা উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থানের চার মাস পরেও সাংবাদিকতা সংস্কারের লক্ষ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মতবিনিময়ে দেশের পত্রিকাগুলোর অবাস্তব সার্কুলেশন সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ সাংবাদিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
দৃকের পক্ষ থেকে সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সামিয়া রহমান প্রিমা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।