পটুয়াখালীতে সম্প্রতি একটি আলোচনা সভায় যৌনকর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্তিকরণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা টাউন হলে শৃঙ্খলা এবং দায়িত্বপূর্ণ সেবা প্রদানকারী হিসেবে যৌনকর্মীদের মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। "জীবনমান উন্নয়নে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সমূহে যৌনকর্মীদের অন্তর্ভুক্তিকরণ" শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা যৌনকর্মীদের সমাজে সেবা প্রদানকারী হিসেবে গুরুত্ব প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের সভাপতি আলেয়া আক্তার বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে 'পতিতা' শব্দটিকে সরিয়ে দিয়ে 'যৌনকর্মী' শব্দটি প্রবর্তন করছি। নার্স যেমন রোগীর সেবা প্রদান করেন, তেমনি যৌনকর্মীরাও একজন রোগী বা ক্লায়েন্টকে সেবা প্রদান করেন।” তার বক্তব্যে, তিনি যৌনকর্মীদেরও সেবামূলক কাজ হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং সমাজে তাদের স্থান এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার গুরুত্ব দেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যাতে সকল শ্রেণির মানুষ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, সেই লক্ষ্যে যৌনকর্মীদের সমাজে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও জানান, প্রশাসন এই বিষয়ের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং যৌনকর্মীদের জন্য সঠিক নীতি প্রণয়ন করার দিকে কাজ করছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সাজেদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজল বরন দাস, আইনজীবী আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক নিলুফা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাফিয়া আরিফিন, এবং শক্তি নারী সংগঠনের সভাপতি ঝুমুর বেগম বক্তব্য রাখেন। তারা যৌনকর্মীদের সমস্যাগুলি সমাধানে প্রশাসনিক সহায়তা এবং সামাজিক কাঠামোর মধ্যে সম্মানজনক স্থান প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
এছাড়াও, সভায় যৌনকর্মীদের জন্য সঠিক স্বাস্থ্য সেবা, তাদের অধিকার এবং সামাজিক সমস্যা মোকাবেলা করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিরা তাদের সমস্যা তুলে ধরেন এবং সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে এদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।