ওএমএস চালুর দাবিতে নওগাঁয় খাদ্য অফিস ঘেরাও, ভোক্তাদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: বুধবার ১১ই ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
ওএমএস চালুর দাবিতে নওগাঁয় খাদ্য অফিস ঘেরাও, ভোক্তাদের বিক্ষোভ

নওগাঁয় গত চার মাস ধরে বন্ধ থাকা স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য বিক্রির কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবিতে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। এ সময় ভোক্তারা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লাকার্ড হাতে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেন।


প্রসঙ্গত, নওগাঁ পৌরসভা এলাকায় ১৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকার গত কয়েক বছর ধরে ওএমএস চালু রাখে, যেখানে হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা বিতরণ করা হত। তবে ২০২৩ সালের ৫ই আগস্ট থেকে এ কার্যক্রমে হঠাৎ পরিবর্তন আনা হয়, যার ফলে ১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে বাজার থেকে খাদ্যসামগ্রী কেনা সম্ভব নয়। তাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ হওয়া কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করতে হবে, যাতে তারা স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনে জীবন ধারণ করতে পারেন।


বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রিক্সা চালক সোহেল রানা বলেন, "আজকাল বাজারে চাল ও আটা কেনার ক্ষমতা নেই। ওএমএস চালু থাকলে কিছুটা সহায়তা মিলত, কিন্তু এখন সেটাও বন্ধ। আমার মতো রিক্সা চালকদের জন্য এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।" 


এছাড়াও, ইঁদুর বটতলী এলাকার মানোয়ারা বেগম বলেন, "বৃদ্ধ বয়সে রাস্তার পাশে ফলমূল বিক্রি করি, কিন্তু বাজারে ৫৪ টাকা কেজি দামে চাল কেনার মতো অবস্থা নেই। ওএমএস আমাদের শেষ ভরসা ছিলো, তাই এই কর্মসূচি পালন করছি।"


এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল কবির বলেন, "ভোক্তাদের দাবি শোনা হয়েছে। তাদের বিষয়গুলো জেলা ওএমএস কমিটির কাছে পাঠানো হবে এবং দ্রুত সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"


অন্যদিকে, নওগাঁ জেলা প্রশাসক আব্দুর আউয়াল জানান, "ওএমএস কার্যক্রমে কিছু সমস্যা ছিলো, যার কারণে কিছু কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন ডিলার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। বিক্ষোভের পর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে, প্রয়োজন হলে কেন্দ্রগুলো চালু করা হবে।"