পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ১লা ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:১৮ অপরাহ্ন
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও যুব সমিতির নেতাকর্মীরা জেলা সদরের মহাজন পাড়া থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা আদালতের সামনে এসে সমাবেশে রূপান্তরিত হয়। 


এসময় বক্তারা পার্বত্য চুক্তির সব মৌলিক ধারা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি কঠোর আহ্বান জানান। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি সুনেন্টু চাকমা, যুব সমিতির দীঘিনালা থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েল চাকমা, পিসিপির সাবেক নেতা রাজ্যময় চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি মায়া চৌধুরী, এবং যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্ঞানপ্রিয় চাকমা সহ অন্যান্য নেতারা তাদের বক্তব্যে চুক্তির বাস্তবায়নে সরকারের ব্যর্থতা এবং দীর্ঘস্থায়ী অপেক্ষার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


বক্তারা বলেন, "১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির ২৭ বছর পরও মৌলিক ধারা বাস্তবায়ন না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারের কালক্ষেপণের কারণে পাহাড়ের জনগণ এখনও শান্তি ও সমৃদ্ধি পায়নি।" তারা দাবি করেন, চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে আবারও চুক্তির পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যেতে হবে, যা সেখানে শোষণ ও নির্যাতনের শৃঙ্খলে পতিত করবে।


এছাড়া, বক্তারা আরও বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চুক্তির বাস্তবায়নের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে এবং শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।"


এ সময় প্রতিবাদকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "সরকার যদি চুক্তির ধারাগুলি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে পাহাড়ি জনগণ আন্দোলনের নতুন ধাপে প্রবেশ করবে।"


১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি ছিল। তবে, চুক্তির অধিকাংশ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ করছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠনগুলি।