হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বৃষ্টিতে ভিজে পচে যাওয়ায় আমদানিকারকদের জন্য দুর্ভোগ ও লোকসানের মুখে পড়েছে। দিনাজপুরের এই বন্দরে পেঁয়াজের খরা পরিস্থিতিতে একদিকে বাড়ছে খরচ, অন্যদিকে কমছে বাজারে দাম।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বন্দর এলাকায় পেঁয়াজের দাম ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, যা বুধবার (৩০ অক্টোবর) এসে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় নেমে আসে। স্থানীয় আড়তদাররা জানিয়েছেন, অনেক পেঁয়াজই বৃষ্টির কারণে পচে গেছে এবং সেগুলো এখন নিম্নমানের হিসেবে ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। পচা পেঁয়াজের মূল্য ১৫০-২০০ টাকাও উঠছে।
হিলি বন্দরের সিপি মোড়ের একটি আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা পচা পেঁয়াজ কিনে বাড়িতে বাছাই করছেন। এক ক্রেতা জানান, “১৫০ টাকায় একটি বস্তা পেঁয়াজ কিনেছি। একটু পচা হলেও বাছাই করে ব্যবহার করব।”
এক ভ্যান চালক, রোস্তম আলী বলেন, “হিলি আড়ত থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে আধা ভালো পেঁয়াজ কিনেছি। ভালো পেঁয়াজ বাছাই করে গ্রামে বিক্রি করব, কারণ বর্তমানে দাম অনেক বেশি।”
হিলি বন্দরের আড়তদার হেলাল হোসেন জানান, ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর আগে সাত থেকে আট দিন সময় নেয়। এ সময়ে ট্রাকগুলো রোদ ও বৃষ্টির কবলে পড়ে, যা পেঁয়াজের পচন ঘটায়। তিনি বলেন, “এবার কিছু ট্রাকের পেঁয়াজ বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। এতে আমদানিকারকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।”
হিলি বন্দরের পরিস্থিতি তুলে ধরে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, পেঁয়াজের এই অবস্থা দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
আমদানিকারকদের জন্য পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে, এবং তারা আশা করছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তাদের লোকসান বাড়তেই থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।