'চাকরী মৃত্যুর জন্য দায়ী' লিখে স্কুল দপ্তরীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির, উপজেলা প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: সোমবার ২৮শে অক্টোবর ২০২৪ ০৬:২১ অপরাহ্ন
'চাকরী মৃত্যুর জন্য দায়ী' লিখে স্কুল দপ্তরীর আত্মহত্যা

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং রাখাইন পাড়া সংলগ্ন খারাংখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী আত্নহত্যা করেছে। এ আত্মহত্যা রহস্যজনক বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা। এসময় একটি চিরকুটও পাওয়া যায়। চিরকুটে 'চাকরী মৃত্যুর জন্য দায়ী' বলে লিখা রয়েছে। 


সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিদ্যালয়ে ঘটেছে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা।


স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা যায়- হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী নাচর পাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজী আবু বকরের দ্বিতীয় ছেলে ৩ কন্যা সন্তানের জনক নুরুল আলম (২৭)। সে দীর্ঘদিন ধরে খারাংখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীর দায়িত্ব পালন করে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় সে সোমবারও স্কুলে গিয়ে যথানিয়মে স্কুলের সব কক্ষ খুলে দিয়ে একটি কক্ষের ভিতর থেকে দরজা আটকে দিয়ে কে দেয়।


এদিকে শিক্ষার্থী, সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা এসে তাকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখোঁজি করে। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী এসে একটি কক্ষের দরজা আটকানো দেখতে পায়। দরজায় টোকা ও ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় দপ্তরী নুরুল আলম রুমের মেঝেতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায়  পড়ে আছে। ধারনা করা হচ্ছে তিনি সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছেন। 


তার একপাশে তার লিখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।


চিরকুটে লিখা আছে 'আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা, মা, আত্নীয় স্বজন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউই দায়ী নয়, আমার চাকরী টা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী'। 


এনিয়ে এলাকায় বলাবলি করছে সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন- এমন কি হল। চাকরী কেন মৃত্যুর জন্য দায়ী হবে। এই প্রশ্ন এখন সবার মূখে মূখে। 


এব্যাপারে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ বেলাল উদ্দিন বলেছেন, কেন সে আত্নহত্যা করেছে আমার জানা নেই, তবে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে এসে দেখি এঘটনা। পরে আমি পুলিশকে খবর দিলে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 


টেকনাফ মডেল থানার  অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান- খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। ময়না তদন্ত শেষে বাকী টা বলা যাবে।