রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে বলেছেন, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হয়ে এসেছেন। তিনি শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানব জাতির জন্য এক আলোকবর্তিকা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন, যাতে তিনি মানব জাতিকে সত্য ও আলোর পথে পরিচালিত করতে পারেন।
দুধরচকী উল্লেখ করেন যে, মহানবীর আগমনের মাধ্যমে নবুয়তের ধারা চিরতরে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, “হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে নবুয়তের সূচনা হয়েছিল, আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে সেই ধারার সমাপ্তি ঘটেছে।” পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত যত মানুষ জন্ম নেবে, সবাই তাঁর উম্মত হিসেবে গণ্য হবে। এই দায়িত্ব পালনে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতদের কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, রাসুল (সা.) ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আমি আপনাকে সমগ্র জাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি’ (সূরা সাবা: ২৮)। নবীর এই দায়িত্ব শুধুমাত্র আরব অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তা ছিল সমগ্র পৃথিবীর জন্য।
মহানবীর আগমনের পূর্বাভাস বিভিন্ন আসমানি কিতাবেও দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দুধরচকী। তিনি কোরআনের সূরা আস-সফ-এর (আয়াত ৬) উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “তাওরাতে উল্লেখ রয়েছে যে আমার পরে একজন নবী আসবেন, যার নাম হবে আহমদ।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের এ ভবিষ্যদ্বাণী মানুষকে সত্যের পথে অনুপ্রাণিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল।
দুধরচকীর বক্তব্যে এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে, নবীর অনুসারীরা তাঁর দীন ও শিক্ষায় অটল থেকে মানবজাতির উন্নতি সাধন করতে পারেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে একটি সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনই হলো প্রকৃত মুসলিমের লক্ষ।
তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন এই প্রার্থনা দিয়ে, “আল্লাহ আমাদের সবাইকে শেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রকৃত উম্মত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন এবং তাঁর দীনে অটল থাকার তাওফিক দান করুন।”
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।