বিশ্ব মানবতার শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক: হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) - শিক্ষায় আদর্শের আলোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী- বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ
প্রকাশিত: সোমবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৩২ অপরাহ্ন
বিশ্ব মানবতার শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক: হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) - শিক্ষায় আদর্শের আলোক

ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪: বিশ্ব মানবতার শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে ইসলামের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা ও আদর্শ আজও কোটি মানুষের জন্য প্রেরণা হয়ে রয়েছে। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখক হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী তার সম্প্রতি প্রকাশিত একটি লেখায় মহানবীর শিক্ষার গুরুত্ব এবং তার শিক্ষা বিস্তারের পদ্ধতির ওপর আলোকপাত করেছেন।


শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে হাফিজ মাছুম আহমদ বলেন, "মেরুদণ্ডহীন মানুষ যেমন দাঁড়াতে পারে না, ঠিক তেমনি শিক্ষাবিহীন কোনো জাতি পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। পবিত্র কোরআনের প্রথম নির্দেশ 'পড়ো' থেকেই শিক্ষার গুরুত্ব স্পষ্ট।"


মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে শিক্ষা বিস্তারের এক অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন তিনি। "হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাত্র ২৩ বছরে মানব জাতির এক অপূর্ব জাগরণ এনে দিয়েছেন। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শের কারণে সমাজে শান্তি ও মীমাংসার ফুল ফুটেছে," উল্লেখ করেন দুধরচকী।


হাফিজ মাছুম আহমদ আরও বলেন, "প্রিয়নবী (সা.)-এর শিক্ষার মধ্যে মানুষের প্রতি দয়ামায়া, কল্যাণ কামনা এবং বিনম্র স্বভাব ছিল। পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত আছে, 'আল্লাহপাকের অনুগ্রহে (হে রাসুল!) আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয়ের অধিকারী হয়েছেন...' (৩:১৫৯)।" তাঁর শিক্ষা ছিল কেবল মুখের কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তিনি নিজেও তাঁর শিক্ষা অনুযায়ী আমল করতেন।


বিশ্ব মানবতার শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ভূমিকা নিয়ে দুধরচকী লিখেছেন, "মহান আল্লাহই তাঁকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক বানিয়েছিলেন। নবী (সা.) কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা স্কুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি, বরং আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সরাসরি শিক্ষা দিয়েছেন।"


তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, "মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগে আরবে লেখাপড়ার প্রচলন ছিল না। নবী (সা.)-এর আগমনের পর প্রতিটি ঘর ফিকহ, হাদিস ও তাফসিরের বিদ্যালয়ে পরিণত হয়ে যায়।" উদাহরণস্বরূপ, তিনি বদরের যুদ্ধের বন্দিদের মুক্তিপণের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। বন্দিরা যদি ১০ জন নিরক্ষরকে শিক্ষাদান করতে সক্ষম হতো, তবে তারা মুক্তি পেত।


দুধরচকী লেখেন, "মহান নবী (সা.)-এর শিক্ষা বিস্তারের পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত বাস্তবমুখী। মদীনার মসজিদে নববী-কে শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত করা হয়েছে এবং সুফ্ফা নামের একটি বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল।" এই শিক্ষাকেন্দ্রে তৎকালীন মুসলমানরা দিনের পর দিন শিক্ষা লাভ করতেন।


তিনি শেষ করেন, "মহান নবী (সা.) শিক্ষা বিস্তারে যে আদর্শ স্থাপন করেছেন তা আজকের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি 'Mile Stone' হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাঁর শিক্ষা ও পদ্ধতি আধুনিক শিক্ষাবিদদের জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করে।"


বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করে, হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী মহান নবী (সা.)-এর শিক্ষা ও আদর্শের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং তা মানবসমাজে শিক্ষার বিস্তারে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।