গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মদনখালী এলাকায় অংশীদারদের পাওনা ভাগ না দিয়ে খামার থেকে মাছ বিক্রির ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে যৌথ ব্যবসার পার্টনার ওই এলাকার নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এঘটনায় বাদী হয়ে ভুক্তভোগীদ্বয়ের পক্ষে বাদল হোসেন কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মদনখালী এলাকায় নদীয়ার বিলে বাদল হোসেন, কুব্বত আলী ও নুরল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ যৌথ ভাবে মৎস্য খামারের ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রায় বছর খানেক ধরে তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না। ওই মৎস্য ব্যবসা আর্থিক ঝামেলাকে কেন্দ্র করে পূর্বে একাধিক বার উভয় পক্ষ অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার মাতাব্বরেরা একাধিক বার বৈঠক করে মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ওই খামারে নুরুল ইসলাম, কুব্বত আলী ও বাদল হোসেন অংশীদার পদ্ধতিতে ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রায় আড়াই কোটি টাকা হিসেবে গড়মিলের কারণে মাতাব্বরেরা সর্বশেষ বৈঠকের মাধ্যমে মাছ বিক্রি করে ২ কোটি ৯ লক্ষ টাকা বাদল হোসেন ও কুব্বত আলী কে পাওনা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম পুকুরের সব মাছ বিক্রি করে অংশীদারদের পাওনা পরিশোধ না করেই সব টাকা নিজেই আত্মসাৎ করে। পরে গত ৫ জুন নূরুল ইসলাম ভাড়াটে লোকজন নিয়ে ওই খামারে ভেকু ব্যবহার করে মাটি কাটার পরিকল্পনা করে। এসময় অভিযোগের বাদী বাদল হোসেন বাধা দেয়। পুলিশের সহায়তায় মাটি কাটা বন্ধ হয়। পরে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম বলেন, মাছের খামারে হিসেব নিয়ে ঝামেলা আছে। সেটা হিসেব করেই সমাধান করতে হবে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে, সবই মিথ্যে।
বোয়ালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন জানান, তারা তিন জন মিলে পার্টনারশিপে তিনটি মাছের খামার চাষ করে। জানা মতে হিসেবে তাদের গড়মিল আছে। সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে অভিযুক্ত নুরল ইসলামকে মোবাইল ফোনে পাইনি।
এ ব্যপারে কালিয়াকৈর থানার এস আই আবুল কালাম জানান, মাছের খামারের ঘটনায় বাদল হোসেন বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন। ওই খামারে কোন পানি নাই। নুরুল ইসলাম বেকু দিয়ে মাটি কাটতে চেয়েছিল। বন্ধ করে দিয়ে আসছি। মাছ আগেই নুরল ইসলাম বিক্রি করে দিয়েছে শুনেছি।
ভুক্তভোগী বাদল হোসেন জানান, আমি আগে থেকেই মাছের ব্যবসা করে আসছি । কোন সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আজাদের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করি না। যারা বলেছে এরা মিথ্যা বলেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ একজন ভালো মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।