পানির সংকট যেন উপকূল অঞ্চলের নিত্যসঙ্গী। পুকুর, পন্ড স্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ), বৃষ্টির পানি, বোতলজাত পানির পর বর্তমানে উপকূলের মানুষ আরও মেশিনের পানি কিনে পান করছেন। কিন্তু দিনে দিনে অনেক এলাকার আরও মেশিনের (রিভার্স অসমোসিস) পানিতে খুব বিকট রাসায়নিকের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কখনো কখনো পানির স্বাদ বদলে যায়।
এই পানি পান করে অনেকে পেটের পীড়া, বদহজম এবং নানা অসুখে ভুগছে। পানি বিক্রেতার জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, হয়তো কিছু ক্যামিকেল (রাসায়নিক) বেশি পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি হতে থাকা এইসব আরও মেশিনের পানি নিয়মিত পরীক্ষা ও মনিটরিং করার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা চালু হয়নি। আরও মেশিনের পানি পানযোগ্য ও নিরাপদ কীনা তা দ্রুত পরীক্ষা করার জোর দাবি জানিয়েছে এসএসটি, সিডিও এবং শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ২০২২ শ্যামনগর উপজেলা চত্বরে যুব সংগঠনের প্রতিনিধি, কৃষক, জেলে, বনজীবী, মুন্ডা প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পরিবেশকর্মী এবং উন্নয়নকর্মীরা এক মানববন্ধনের মাধ্যমে এই দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে শ্যামনগরের সকল আরও মেশিনের পানি পরীক্ষা করে সেখানে কি কি রাসায়নিক আছে তার রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রচারের দাবি জানান। প্রতিটি আরও মেশিনের পানি নিয়মিত পরীক্ষা এবং তা জনস্বাস্থ্যের জন্য কতোটা নিরাপদ সেই ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণের দাবিও জানানো হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কুমুদ রঞ্জন গায়েন,কৃষক নেতা নজরুল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মী পিযুষ বাবুলিয়া পিন্টু,সিডিও ইয়ুথ টিমের হাফিজুর রহমান, এসএসটির রাইসুল ইসলাম সহ স্বেচ্ছাসেবী বৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।