দেড় শতাধিক জেলে নিয়ে ঘাটে ফিরলো উদ্ধারকারী ট্রলার, এখনো নিখোঁজ আড়াই’শ জেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ২১শে আগস্ট ২০২২ ০৬:১৯ অপরাহ্ন
দেড় শতাধিক জেলে নিয়ে ঘাটে ফিরলো উদ্ধারকারী ট্রলার, এখনো নিখোঁজ আড়াই’শ জেলে

বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ১৮ টি ট্রলারের দেড় শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ট্রলার থেকে পড়ে গিয়ে চরফ্যাশনের জনতা বাজার এলাকার জেলে রফিক (৩২) এখনো নিখোজ রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির উদ্ধারকারী ট্রলার সহ স্থানীয়রা এসকল জেলেদের নিয়ে মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে পৌছায়। এসময় জেলেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। 


এদিকে নিখোজ জেলেদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা।


কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, আলীপুরের ডুবে যাওয়া ট্রলারের সকল জেলেকে সুন্দরবন সহ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে সাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আর ১১ জেলেকে ভারতের রায়দীঘির জেলেরা উদ্ধার করেছে। তারা বর্তমানে ভারতের সাউথ সুন্দরবন ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের হেফাজতে রয়েছে। আর বাকি জেলেদের আমাদের মালিক সমিতির ট্রলার ও স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে। তবে এখনো নিখোজ রয়েছে আরও অন্তত ১২৬ জেলে সহ ৭ টি ট্রলার এমন দাবী মালিক সমিতির এই নেতার। 


ডুবে যাওয়া ও নিখোজ ট্রলারের সকল মালিকদের বাড়ি আলীপুরে। তিনি আরও বলেন, মূলত আমাদের এখানো কোন উদ্ধারকারী নৌ-যান নেই। যার ফলে ট্রলার ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই সরকারীভাবে এখানে একটি উদ্ধারকারী নৌ-যান দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।


মহিপুর আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা জানান, মহিপুরের আড়ৎগুলোতে মাছ দেয়া ৯ টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে গেছে। এতে এখনো অন্তত ১৩০ জেলে সহ ৯ টি ট্রলার নিখোজ রয়েছে। এছাড়া গভীর সাগর থেকে তীরে ফেরার পথে একটি ট্রলার থেকে রফিক নামের এক জেলে বঙ্গোপসাগরে পরে যায়। তিনিও এখন পর্যন্ত নিখোজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া ও নিখোজ ট্রলারের মালিকদের বাড়ি মহিপুর, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়।


কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার্স ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জানান, নিখোজ জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আমাদের উদ্ধারকারী নৌ-যানের সংকটে তারা সফলভাবে উদ্ধার অভিযান চালাতে পারছেন না।