প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ১৫:৪০
আঁধার যখন আলোকে ঢেকে ফেলে, তখন অন্ধকারে ছেয়ে যায় সব। দিন-রাতের পার্থক্য তখন আর বোঝা যায় না। রাতের আঁধারে লুকিয়ে যে কাজ করতে হয়, সে কাজ যখন প্রকাশ্যে ঝলমলে দিনের আলোয় মানুষ করে, তখনই বুঝতে হবে সবকিছু অন্ধকারের দখলে চলে গেছে। খাদ্যে বিষ মেশানো, মানুষ ঠকানো, ব্যবসার নামে ডাকাতি করা, সুদ-ঘুষ-দুর্নীতির মহোৎসবসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা মানুষ করছে না। আফসোস! বহু অনিয়ম আমাদের সমাজে নিয়ম হয়ে গেছে। বহু বেআইনি কাজ মানুষ আইন ভেবে করে যাচ্ছে। যুগে যুগে যখনই একটি জাতি এভাবে বেআইনকে আইন বানিয়ে নিয়েছে, তখনই প্রভুর আজাব তাদের চোখের পলকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আমরা তো চরম অত্যাচারী ও সীমালঙ্ঘনকারী ছিলাম।’ সুরা আরাফ, আয়াত ৪-৫। পাঠক! আয়াত থেকে সহজেই বোঝা যায় আল্লাহ যখন কোনো জাতিকে ধ্বংস করেন, তখন ওই জাতি এটা বলে না, আমরা খুব ভালো ছিলাম তাহলে কেন আল্লাহ আমাদের ধ্বংস করলেন? তারা এও বলে না, আমরা অল্পবিস্তর খারাপ কাজ করি, কিন্তু একেবারে ধ্বংস করে দেওয়ার মতো কোনো গুনাহ করিনি। বরং তারা সবাই এটাই বলেছে, হায়! সত্যিই আমরা বড় অত্যাচারী ছিলাম। বড় সীমালঙ্ঘনকারী ছিলাম।
]হে দরদি পাঠক! করোনা ধাত মুছে গিয়ে আবার করুণার ফুল ফুটবে, মৃত্যু-কান্না শেষ হয়ে আবার নতুন সূর্য উঠবে, এটাই আমরা আশা করি। কিন্তু নিজেদের কি বদলাতে পেরেছি? অন্যায়ের পথ কি ছাড়তে পেরেছি? হয়তো পারিনি। তবে মৃত্যু যে চারপাশে ঘুরছে সময় হলেই কারও কাছে আসবে বন্ধু হয়ে, কারও কাছে শত্রু হয়ে। চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে এই নিঃশ্বাস, চোখের পলকেই হয়ে যাব লাশ, কেউই নিতে চাইবে না এ লাশ, কবরের মাটি ছাড়া।
একটু ভাবুন তো গোরস্থানের যে মাটিটুকু আপনি বায়না করে রেখেছেন জমিনের সে মাটিতে কি আপনার কবর হবে? তাহলে কার জন্য নিজেই নিজের ক্ষতি করছি? তাই আসুন করোনার মুসিবতের সময় নিজেকে শুধরে নিই, ক্ষুধার্ত মানুষের মুখ থেকে কেড়ে নেওয়া খাবার তাদের ফিরিয়ে দিই। অন্যায়, দুর্নীতি আর পাপের পথ ছেড়ে ভালো হই, অন্তরকে আল্লাহর ভয়ে বিগলিত করি।