সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫২২ আশ্বিন, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্ম

হাফেজে কোরআন হলেন ঢাকা কলেজের সাবেক প্রিন্সিপালের আট সন্তান

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৭ মে ২০২০, ১৮:৪৯

শেয়ার করুনঃ
হাফেজে কোরআন হলেন ঢাকা কলেজের সাবেক প্রিন্সিপালের আট সন্তান
ধর্ম
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg
এদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনন্য নাম ঢাকা কলেজ। ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রায় পৌনে দুইশত বছরের ইতিহাসের সাক্ষী এই কলেজ জন্ম দিয়েছে অনেক সূর্য সন্তান। বিভিন্ন সময়ে এই কলেজের নেতৃত্ব দিয়েছে অনেক কিংবদন্তী। এমনই একজন হলেন প্রফেসর মো: নূরুল হক মিয়া।

১৯৬৯ এ শিক্ষকতার পেশায় যোগ দিয়ে অধ্যাপনা করেছেন দেশসেরা প্রতিষ্ঠান সমূহে। সিলেট এমসি কলেজ, ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ, টাংগাইল করোটিয়া কলেজ, ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ, জগন্নাথ কলেজ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। প্রায় দীর্ঘ এক যুগ ছিলেন ঢাকা কলেজে। কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের হেড ছিলেন চার বছর। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৪৪ সালের ১ জুলাই গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার অজপাড়া জন্ম নেয়া নূরুল হক শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে। সেশন ১৯৬৬-৬৭। থাকতেন ফজলুল হক মুসলিম হলের ৩৫৯ নম্বর রুমে।

আরও

ধৈর্যের শিক্ষা কোরআন ও হাদিসের আলোকে

ধৈর্যের শিক্ষা কোরআন ও হাদিসের আলোকে
পড়াশুনার জীবনের সঙ্গিসাথিদের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিখ্যাত অনেকেই আমাদের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। আমার পাশেই ৩৬১ নম্বর রুমে থাকতো আব্দুর রাজ্জাক। তিনি পড়তেন পলিটিক্যাল সাইন্সে। তিনি আমার এক বছরের সিনিয়র ছিলেন। আমরা এক সঙ্গে চার বছর ছিলাম। তার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল আমার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাবেক শীর্ষনেতা ও মন্ত্রী ছিলেন।

প্রফেসর মো: নূরুল হক মিয়া বলেন, তোফায়েল আহমদ তখন ইকবাল হলের ভিপি। আরও ছিলেন, পিডিবির চেয়ারম্যান ফেরদাউস আহমদ কোরাইশি। সেও এক সময় মন্ত্রী ছিলেন। তারপর সিরাজুল আলম খানও আমার বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। যাকে বলা হয় রাজনীতির রহস্য পুরুষ। রাশেদ খান মেনন, মতিয়া চৌধুরীরাও ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কিন্তু তখন তারা কমিউনিস্ট পার্টি করতো, তাই তাদের সঙ্গে মেশা হতো না। এছাড়াও রশিদ, কায়সার, মোতালেবসহ ভার্সিটি জীবনের অনেক বন্ধুদের কথা মনে পড়ে।

প্রফেসর নূরুল হক মিয়া বিখ্যাত ছিলেন রসায়নবিদ হিসেবে। কেমিস্ট্রি প্রফেসর হিসেবে তার খ্যাতির মূল কারণ ছিল বই। ইন্টার ও ডিগ্রি ক্লাসে রসায়নের ওপর লিখিত তার সাতটি বই সিলেবাস ভুক্ত। বিশেষ করে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত সারা দেশে এককভাবে রাজত্ব করেছে ইন্টারের তার লেখা রসায়ন বইটি। দ্বিতীয় কোন বই ছিল না।

নীলক্ষেতের পুরনো দোকানদাররা এখনো নূরুল হক ঢাকা কলেজ বললে চিনে। কিন্তু প্রকাশকের ব্যর্থতায় বইগুলো এখন বাজারে নেই বললেই চলে। ভালো কোন প্রকাশক উদ্যোগ নিলে আবারও সেগুলো বাজারে আনা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

আরও

আত্মসংযম: ইসলামী জীবনের মূল ভিত্তি

আত্মসংযম: ইসলামী জীবনের মূল ভিত্তি
নিভৃতচারী এই জ্ঞানতাপস সারা জীবন সহজ সরল জীবন যাপন করেছেন। যতদিন প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রিন্সিপালের সুবিধাগুলো নেননি। সরকারি গাড়ি, সরকারি বাংলো কোনো কিছুই নেননি। এমনকি মোবাইল ফোনও না। লালবাগের বাসা থেকে পায়ে হেটেই অধিকাংশ সময় কলেজে আসতেন। যখন প্রিন্সিপাল ছিলেন তখনো একই নিয়ম ছিল।

জীবনের প্রাপ্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহপাক আমাকে দুনিয়াতে অনেক সম্মান দিয়েছেন, ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপালের চেয়ারে যেদিন প্রথম বসি, তখন সবাই বলেছিল, ঢাকা কলেজের দেড়শত বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দাড়ি টুপিওয়ালা কেউ প্রিন্সিপালের চেয়ারে বসলো। আমার সৌভাগ্য সেই সুযোগ আমার হয়েছিল। আমার বই আমাকে যে সম্মান এনে দিয়েছিল তা ভুলার মতো না।

তিনি বলেন, তাবলিগের জামাতে আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতাম। মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখতাম, আশপাশের কলেজ থেকে ছেলে-মেয়েরা আমাকে দেখার জন্য ভিড় করছে। লাইন ধরতো সবাই আমার অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য। আমাকে ক্লাস করানোর জন্য অনুরোধ করতো, কলেজে নিয়ে যেত।

তার ছোট ছেলে এহসানুল হক বলেন, পরিবারের সবচেয়ে ছোট সন্তান হওয়ায় আব্বার সোনালী সময় আমার তেমন দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু বাবার ক্রেস্টগুলো যখন দেখি ভালো লাগে। ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপালের মাথার ওপর টাঙানো তালিকায় আমার বাবার নামটি যেদিন প্রথম দেখেছিলাম, কেমন আনন্দ লেগেছিল তা ভাষায় ব্যক্ত করার মতো না। আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে দীর্ঘদিন পিজি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। কোনভাবে ডাক্তাররা পরিচয় জানলেন, তখন দেখা গেল উপস্থিত সব ডাক্তারই বাবার ছাত্র। সবাই বাবার বই পড়েছেন। এমন অনেক সময়ই হয়।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif
এহসানুল হক বলেন, বাবাকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন, ভারমুক্ত হলেন না কেন? তিনি বলেছিলেন, দরকার কী? সে জন্য তদবির করতে হত। আমি তো সেগুলো করবো না। অথচ তিনি একটু চাইলেই পারতেন। তৎকালীন সময়ে আব্বার স্কুল সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রহমত আলী গাজীপুরের এমপি ও প্রতিমন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় হলের চার বছরের সঙ্গী আব্দুর রাজ্জাক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। আরও কত বন্ধুবান্ধব। একটু চাইলেই পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।

আব্বা বলতেন, প্রিন্সিপাল হয়ে একটা সমস্যা ছিল। অনেক সময় মিটিং করতে হতো নামাজের সময়ে। বিরতি দেয়া যেত না। যেভাবে দীর্ঘদিন চলে আসছে, আমার পক্ষে সেটা পরিবর্তন করাও সম্ভব ছিল না। নামাজ পাগল বাবা কোনদিন ছাত্র পড়াতে পারেননি। কারণ আজান হলেই সবাইকে বসিয়ে রেখে আব্বা চলে যেতেন মসজিদে।

বাবা বন্ধু রহমান আলীর ছেলে ঢাকা কলেজের বিখ্যাত ছাত্র বর্তমান পৃথিবীব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা মার্কিন বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক এম. জাহিদ হাসান তাপস আমাদের বাসায় নিয়মিত পড়তে আসতেন। এই খবর কলেজে ছড়িয়ে পড়লে আরও অনেক ছাত্র এসে ভিড় করতো। কিন্তু এই সমস্যায় ছাত্র টিকতো না। আব্বা সবাইকে বসিয়ে রেখে মসজিদে চলে যেতেন। শুধু মসজিদে যেতেন তাই না, তাবলিগের আমল শেষ করে বাসায় ফিরতেন। অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ার আগ পর্যন্ত কখনোই জামাত ত্যাগ করতেন না।

প্রফেসর মো: নূরুল হক মিয়া প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হকের জামাতা। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই তাবলিগ জামাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অধ্যাপনা ও লেখালেখির পাশাপাশি সারা জীবনই দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ করেছেন। চাকরি জীবন থেকে অবসরের পর অনেক ধরনের অফার থাকলেও তিনি সেগুলো গ্রহণ করেননি। তাবলিগের কাজ করেছেন। বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন।

তিনি দুই ছেলে ও ছয় কন্যার জনক। সবাইকেই তিনি কোরআনে হাফেজ বানিয়েছেন। দুই ছেলেই মাওলানা। দুইজনই দেশে প্রথম সারির দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার শিক্ষক। ঢাকা কলেজ প্রিন্সিপালের আট সন্তানই হাফেজ, ভাবা যায়! তিনি বলেন, কলেজ জীবনে আমার সহকর্মীরা বলতো, স্যার, সবাইকে মাদ্রাসায় পড়াচ্ছেন, ওরা খাবে কী? আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করেছিলাম। একইসঙ্গে সন্তানদের কথা চিন্তা করে একটি ইসলামি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আল্লাহপাক সন্তানদের খারাপ রাখেননি।

তিনি আরও বলেন, আমি সন্তানদের জন্য পিএইচডি পর্যন্ত করিনি। আমেরিকায় পিএইচডি করার একটা সুযোগ আমার এসেছিল, কিন্তু আমি ভাবলাম আমেরিকায় পরিবার নিয়ে গেলেও সমস্যা; না নিলেও সমস্যা। নিলে সমস্যা হলো, সেখানকার পরিবেশে মনমানসিকতা বদলে যেতে পারে, আর না নিলেও সমস্যা হলো দেশে তারা বাবার নেগরানি থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু এ জন্যই আমার পিএইচডি করা হয়নি। আমার সঙ্গের অনেকেই আমেরিকায় গিয়ে পিএইচডি করেছে।

বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে, প্রফেসর মো: নূরুল হক মিয়ার ছেলে বলেন, বাবার হাইপ্রেসার অনেক আগে থেকেই ছিল। ডাইবেটিস থাকলেও সেটা কম। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, গত কয়েক বছর যাবত বাবার পারকিনসন। আস্তে আস্তে চলাচল শক্তি একেবারেই কমে আসছে। অন্যের সাহায্য ছাড়া এখন চলতেই পারেন না। তবে মেধাটা এখনো পরিপূর্ণ সতেজ আছে।

আজিমপুরস্থ আমতলা রোড ৩০ নং শেখ সাহেব বাজারের বাসাতেই তিনি বসবাস করছেন। ঢাকা কলেজের কেমিস্ট্রি বিভাগ অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তেমন করো সঙ্গেই যোগাযোগ নেই। আগে আমার যে টিএনটি নম্বর ছিল সেটাও এখন বন্ধ। এ কারণে হয়তো কেউ পায় না। তাছাড়া বর্তমান ব্যস্ত জীবনে কেই বা কাকে মনে রাখে?

কর্মজীবনে কত ব্যস্ত ছিলেন। কতহাজার ছাত্র পড়িয়েছেন। তারা আজ বড় বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। জীবনের শেষ বেলায় তিনি এখন অখণ্ড অবসরে। সারা দিন বিছানায়। সহায়তা ছাড়া চলতে পারেন না। বর্তমান সময় কিভাবে কাটছে জানতে চাইলে প্রফেসর মো: নূরুল হক মিয়ার ছেলে বলেন, এখন রমজান চলছে, যত কষ্টই হোক তবুও তিনি রোজা রাখবেন। আমরা না করলেও লাভ হয় না। তিনি রোজা রাখবেনই। শুধু রোজাই নয়, হুইল চেয়ারে বসে তারাবীহও পড়বেন। লকডাউনের উসিলায় আমরা দুইভাই, এক ভাগিনাসহ বাবা মাকে নিয়ে তারাবীহ এর জামাত করছি। করোনাভাইরাসের তাণ্ডব আমাকে এই সুন্দর সুযোগটা করে দিয়েছে। বাবা-মার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। বাবার ছায়া আমাদের ওপর আরও দীর্ঘ হোক।

সর্বশেষ সংবাদ

আজ মধ্যরাতে আকাশে বিরল সুপারমুনের দেখা

আজ মধ্যরাতে আকাশে বিরল সুপারমুনের দেখা

দেশে আবারও বাড়লো সোনার দাম, ইতিহাস ব্রেক

দেশে আবারও বাড়লো সোনার দাম, ইতিহাস ব্রেক

যারা নির্বাচিত হলেন বিসিবির নতুন পরিচালনা পর্ষদে

যারা নির্বাচিত হলেন বিসিবির নতুন পরিচালনা পর্ষদে

আমিনুল বুলবুল বাংলাদেশের নতুন বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত

আমিনুল বুলবুল বাংলাদেশের নতুন বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত

নুরাল পাগলার বাড়ি থেকে লুট হওয়া খাটের চরাট সহ যুবক গ্রেফতার

নুরাল পাগলার বাড়ি থেকে লুট হওয়া খাটের চরাট সহ যুবক গ্রেফতার

জনপ্রিয় সংবাদ

সাত জেলায় বন্যার পূর্বাভাস, বাড়ছে নদীর পানি

সাত জেলায় বন্যার পূর্বাভাস, বাড়ছে নদীর পানি

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১২৯ রানে গুটিয়ে দিল টাইগ্রেসরা

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে ১২৯ রানে গুটিয়ে দিল টাইগ্রেসরা

গোয়ালন্দে আশ্রয়ণে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের পাশে এ্যাড. আসলাম মিয়া

গোয়ালন্দে আশ্রয়ণে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারের পাশে এ্যাড. আসলাম মিয়া

দৌলতদিয়ায় মেলা বন্ধ করে দিল উপজেলা প্রশাসন

দৌলতদিয়ায় মেলা বন্ধ করে দিল উপজেলা প্রশাসন

দেবীদ্বারে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১৪ সদস্য গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

দেবীদ্বারে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১৪ সদস্য গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

নামাজে খুশু অর্জনের সহজ উপায়

নামাজে খুশু অর্জনের সহজ উপায়

ইবাদতের সর্বোচ্চ রূপ নামাজ, আর নামাজের আত্মা হলো খুশু বা বিনয়। খুশু মানে মনোযোগ ও অন্তরের উপস্থিতি, যা আল্লাহর সঙ্গে মানুষের সরাসরি সংযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু আজকের ব্যস্ত জীবনে অধিকাংশ মানুষ নামাজে দাঁড়ালেও মন থাকে অন্যত্র। ইসলামে খুশু অর্জনের গুরুত্ব তাই অপরিসীম, কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষের জন্য নামাজ থেকে শুধু সেই অংশই গণনা হবে, যেখানে সে মনোযোগী ছিল।” (আবু

ইসলামে পরোপকার ও মানবসেবা

ইসলামে পরোপকার ও মানবসেবা

ইসলাম এমন এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের কল্যাণকেই মূল লক্ষ্য হিসেবে স্থাপন করেছে। এই ধর্ম শুধু ইবাদত বা নামাজ-রোজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজে অন্য মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করাকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, “তোমরা একে অপরকে সৎকাজ ও আল্লাহভীতিতে সহযোগিতা করো” (সূরা মায়িদা: ২)। অর্থাৎ ইসলামে মানবসেবা ও পরোপকার কেবল সামাজিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি ইমানের

আত্মসংযম: ইসলামী জীবনের মূল ভিত্তি

আত্মসংযম: ইসলামী জীবনের মূল ভিত্তি

আত্মসংযম এমন এক গুণ যা একজন মানুষকে নৈতিকভাবে দৃঢ় করে তোলে এবং তাকে পাপ ও অশুদ্ধতা থেকে রক্ষা করে। ইসলাম আত্মসংযমকে শুধু একটি নৈতিক মূল্য নয়, বরং আল্লাহর নিকট প্রিয়তম বৈশিষ্ট্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। কুরআনে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তিকে সংযত করেছে, নিশ্চয়ই সে সফল হয়েছে” (সূরা আশ-শামস, আয়াত ৯-১০)। এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রকৃত

ধৈর্যের শিক্ষা কোরআন ও হাদিসের আলোকে

ধৈর্যের শিক্ষা কোরআন ও হাদিসের আলোকে

ইসলাম মানবজীবনে ধৈর্যকে এমন এক মহান গুণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে যা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় ক্ষেত্রেই কল্যাণ বয়ে আনে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বহুবার ধৈর্যের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। মানুষের জীবনে বিপদ, পরীক্ষা ও সংকট আসবে, আর এসব মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায় হলো ধৈর্য ধারণ করা। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর জীবনেও ধৈর্যের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তায়েফে অপমানিত

দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

বর্তমান সমাজে দুর্নীতি, ঘুষ, প্রতারণা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলো মারাত্মক গুনাহ এবং সমাজের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি। ইসলাম সব ধরনের দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং সৎপথে চলার শিক্ষা দিয়েছে। কুরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে যারা অন্যায়ের মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করে তাদের জন্য পরিণতি ভয়াবহ। কুরআনের সূরা আল-বাকারা’র ১৮৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ