মানুষ জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নানা রকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কখনো দুঃখ, কখনো অভাব, কখনো রোগ-শোক আবার কখনো হতাশা তাকে গ্রাস করে। এই দুনিয়ার সব কষ্টের মাঝে একজন মুমিনের ভরসা হয় আল্লাহর অশেষ রহমত। কারণ, কুরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে— *"লা তাকনাতু মিন রাহমাতিল্লাহ"*, অর্থাৎ "আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না" (সূরা যুমার, আয়াত ৫৩)।
আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য অত্যন্ত দয়ালু। তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সমস্ত জীবন পাপ করেও তাঁর কাছে খাঁটি তওবা করে ফিরে আসে, তিনি তা ক্ষমা করে দেন। এমন মহান ক্ষমাশীলতা পৃথিবীর আর কোনো কারও মধ্যে নেই। তাই গুনাহ যত বড় হোক না কেন, আল্লাহর দয়া তার চেয়ে বড়।
একজন মুসলমানকে সব সময় আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখতে হবে। নামাজে দাঁড়ানো, কুরআন তেলাওয়াত করা, দান-সদকা, এবং ভালো আচরণ— এই সবকিছু আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ। আমাদের দুঃসময়ে আল্লাহর নাম স্মরণ করাও এক ধরনের ইবাদত। আল্লাহ বলেন— "তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করবো।"
আল্লাহর রহমত শুধু পারলৌকিক নয়, দুনিয়াতেও তার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। অশান্ত পরিবারে শান্তি ফিরে আসে, নিরাশ হৃদয়ে আশার আলো জ্বলে ওঠে, অসুস্থ ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করে— এসবই আল্লাহর করুণার প্রতিচ্ছবি।
এই কারণে, জীবনে যতই কষ্ট আসুক না কেন, আল্লাহর দয়া থেকে কখনো নিরাশ হওয়া যাবে না। বরং আরও বেশি করে তাঁর দিকে ফিরে যেতে হবে, তওবা করতে হবে, এবং তাঁর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করতে হবে।
আসুন, আমরা সবাই আল্লাহর রহমতের আশায় জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর ওপর ভরসা রেখে চলি এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য আমল করি। আল্লাহর রহমতই আমাদের জীবনের আসল শক্তি ও সান্ত্বনা।
আরও ইসলামি লেখা দরকার হলে আমি প্রস্তুত আছি। আপনি কী ধরনের বিষয় চান—তাফসির, হাদীস, নসিহত, ইতিহাস না সমসাময়িক ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি?