ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকার রূপালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির পর ব্যাংকের ভেতরে বেশ কিছু মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং জিম্মিদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য যেকোনো সময় অভিযান চালানো হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি অবহিত হয়ে দ্রুত ব্যাংকটি ঘেরাও করেন এবং বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। তিনি বলেন, "আমরা ভেতরে জিম্মিদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এদিকে, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ জানিয়েছেন, ব্যাংকে ঢোকার পর ডাকাতরা বিপজ্জনক অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় উপস্থিত হয়। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর জানা গেছে, ডাকাতদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর পাশের মসজিদের মাইক থেকে এলাকাবাসীকে ডাকাতির বিষয়টি জানানো হয়। মুহূর্তেই আশপাশের কয়েকশ লোক ব্যাংকটির শাখা ঘেরাও করে ফেলেন। এ সময় ব্যাংকটির ভিতর থেকে একটি গুলির আওয়াজ শোনা যায়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
এখন পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে, ডাকাতরা ভেতরে লোকজনকে জিম্মি করে রেখেছে, তবে তাদের সংখ্যা এবং অস্ত্রের প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ বাহিনী এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একত্রিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে যাচ্ছে।
ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পাশাপাশি জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।