৩৬ মাসে পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শিশু ফাহমিদা জান্নাত ইভা (১০)। ৩০ পারা কুরআন শুদ্ধভাবে দ্রুততার সাথে পড়ার কারণে শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে সে। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও সংবর্ধিত হয়েছে এই শিশুটি।
ইভা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে হাজীপাড়া গ্রামের রফিকুল আলম ওরফে ইরান ও রুমা আকতারের মেয়ে শিশু ও রাঙ্গুনিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্রী।
ইভার বাবা রফিকুল আলম ইরান বলেন, পবিত্র কুরআন আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ। ইভা ছোট বয়সে কুরআন শরীফ মুখস্থ করেছে, সেটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। দুনিয়ার শান্তি ও পরকালের মুক্তির জন্য কুরআন শরীফের বিধি-বিধান মেনে চলা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, কুরআন শরীফ মুখস্থের পাশাপাশি কুরআনের প্রতিটি আয়াত যাতে বাংলায় বুঝতে পারে সেজন্য তাকে মাদ্রাসায় পড়াবো। ইভাও মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে আগ্রহী।
নুরুল উলুম বালিকা মডেল হিফজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ইভা। মাদ্রাসাটি রাহাতিয়া নঈমীয়া বশরীয়া ট্রাস্ট পরিচালনা করছেন।
ট্রাস্টের সভাপতি সৈয়্যদ মুহাম্মদ ওবাইদুল মোস্তফা বলেন, ইভা অল্প বয়সে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম (মুখস্থ) করেছে, এটা খুব আশ্চর্য্যর বিষয়। সে শিক্ষকসহ পরিবারের সবার সহযোগিতা পেয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে সেটাই প্রত্যাশা করি।
মাদর্সাার পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক) ওবাইদুল হক বলেন, এখানে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। হেফজ মাদ্রাসাটিতে বালিকাদের জন্য আলাদা পড়া ও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
ইভার শিক্ষক হাফেজ মো. সরোয়ার বলেন, ইভা খুবই মেধাবী। তাকে পড়া বুঝিয়ে দিলে সহজে আয়ত্ব করতে পারে। পড়া মুখস্থ করতে তার বেশি সময় লাগে না। সব শিক্ষার্থীদের চেয়ে সে একটু আলাদা। তবে আরও ভালো করতে কুরআন শরীফ প্রতিদিন চর্চা করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।