প্রাকৃতিক দাঁত কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে বা পড়ে গেলে কৃত্রিম দাঁত লাগানো যেতে পারে। এ ব্যাপারে শরিয়তের কোনো বিধিনিষেধ নেই। শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক দাঁত ফেলে দিয়ে কৃত্রিম দাঁত লাগানো ইসলাম সমর্থন করে না। তবে কারো দাঁত যদি অস্বাভাবিক রকম বাঁকা হয়, তাহলে তা সোজা করা বা তুলে ফেলে কৃত্রিম দাঁত লাগানো বৈধ।
কৃত্রিম দাঁত দুরকম হয়। এক রকম দাঁত প্রাকৃতিক দাঁতের মতো স্থায়ীভাবে লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং সহজে খোলা যায় না। আরেক রকম দাঁত এভাবে বানানো হয় যে, প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা যায় আবার খুলেও রাখা যায়।
প্রথম প্রকারের দাঁতের বিধান প্রকৃতিক দাঁতের মতোই। অজু করার সময় ওই দাঁত ধোয়া সুন্নাত, গোসলের সময় ওই দাঁত ধোয়া ফরজ। অজু বা গোসলের সময় এ প্রকারের দাঁত খোলা বা এর নিচ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো জরুরি নয়।
দ্বিতীয় প্রকারের দাঁতের বিধান শরীরের অন্যান্য পোশাক ও অলঙ্কারের মতো। অর্থাৎ গোসল করার সময় ওই দাঁত খুলে দাঁতের নিচ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো ফরজ। দাঁতের নিচের মাড়ি পর্যন্ত পানি না পৌঁছলে গোসল হবে না। অজুর করার সময় যেহেতু কুলি করা সুন্নাত, তাই অজুর সময় এ প্রকারের দাঁত খুলে মাড়ি ধোয়াও সুন্নত গণ্য হবে। দাঁত না খুললে অজুতে কুলি করার সুন্নাত আদায় হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।