সফরে কি সুন্নাহ নামাজ পড়তে হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩১শে আগস্ট ২০২৩ ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
সফরে কি সুন্নাহ নামাজ পড়তে হবে?

সফরের ক্লান্তি ও কষ্ট বিবেচনা করে ইসলাম মুসাফিরদের শরিয়ত পালনে কিছু ছাড় দিয়েছে। যেমন রমজানের ফরজ রোজা মুসাফিররা চাইলে ভেঙে কাজা করে নিতে পারেন, জুমার নামাজ ও কোরবানি মুসাফিরদের ওপর ওয়াজিব নয়, প্রতিদিনের চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ মুসাফিররা কসর বা সংক্ষিপ্ত করতে পারেন ইত্যাদি। সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করার সুযোগ দিয়ে আল্লাহ বলেন,


وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ
যখন তোমরা দেশে-বিদেশে সফর কর, তখন নামাজ সংক্ষেপ করাতে দোষ নেই। (সুরা নিসা: ১০১)


কেউ তার আবাস থেকে ৪৮ মাইল বা ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়ত করে নিজের এলাকা থেকে বের হলেই শরিয়ত তাকে মুসাফির গণ্য করে। তখন সে চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ অর্থাৎ জোহর, আসর ও ইশার ফরজ নামাজ সংক্ষিপ্ত করতে পারে।


প্রশ্ন হলো, প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সাথে আমরা নিয়মিত যে সুন্নাহ নামাজ আদায় করি, যা সুন্নাতে মুআক্কাদা নামাজ হিসেবে পরিচিত, সফর অবস্থায় ওই নামাজগুলোর হুকুম কী? সেগুলো কি সংক্ষিপ্ত করা বা ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ আছে?


এ প্রশ্নের উত্তর হলো, কসর বা সংক্ষিপ্ত করার বিধান শুধু চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুন্নাহ বা অন্য কোনো নামাজ কসর করার নিয়ম নেই। তবে মুআক্কাদা সুন্নাহ নামাজ সফর অবস্থায় মুআক্কাদা থাকে না। সফরের ক্লান্তি বা তাড়া থাকলে নামাজ ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে ঝামেলা ও ক্লান্তিমুক্ত থাকলে সুন্নাহ নামাজ পড়ে নেওয়া উত্তম।