প্রকাশ: ৯ মে ২০২৫, ২০:৪৮
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি ঢাকা শহরের ফার্মগেট খামারবাড়ি বার্ক মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময়’ অনুষ্ঠানে সরকারের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নানা ইস্যু সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে এবং একদিকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তার ভাষায়, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে সরকার জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করছে এবং তা জনগণের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে।
তারেক রহমান আরও বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি এখনও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রেখেছে, কিন্তু বিভিন্ন ঘটনায় সংশয় তৈরি হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পুলিশি অভিযান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যদি সরকার জানত না, তাহলে কীভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন?’
তারেক রহমান বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকলে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি দাবি করেন, স্বৈরাচার সরকারের সময় যেভাবে দেশব্যাপী গুম, খুন ও অপহরণ ঘটেছে, তেমনি বর্তমানেও সেগুলোর পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তার বক্তব্য, ‘‘সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা নির্ভর করে আইন ও গণতন্ত্রের উপর।’’
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে দেশের সংবিধানকে পরিপূর্ণভাবে মেনে চলা জরুরি। সরকার যে সময়োপযোগী সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবনা পেয়েছে, তা প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করছে।
এই বক্তব্যের পর, বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জন গমেজ এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষও অংশ নেন।
তারেক রহমানের এই বক্তব্যের মাধ্যমে সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার নতুন এক অধ্যায় যোগ হলো, যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।