এবারের ঈদুল আজহা বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য এক ভিন্ন আবহে এসেছে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান বাসভবনেই ঈদ কাটাবেন। ঈদের রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে ছিলেন তার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। তবে শর্মিলা ইতোমধ্যেই তাদের কন্যাদের কাছে ফিরে গেছেন। অপরদিকে, ডা. জুবাইদা বৃহস্পতিবার সকালে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। সেখানে তারেক রহমান ও তাদের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।
এবারের ঈদে বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা ঢাকায় অবস্থান করবেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানের আজাদ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গুলশান সোসাইটি মসজিদে, মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুর ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।
অন্যান্য নেতাদের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কেরানীগঞ্জ, ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদীর পলাশে, নজরুল ইসলাম খান বনানী ডিওএইচএসে, আমীর খসরু চট্টগ্রাম, সালাহউদ্দিন আহমদ কক্সবাজার, সেলিমা রহমান বনানী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ঈদের দিন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা। এছাড়াও অসুস্থ নেতারা যেমন রফিকুল ইসলাম মিয়া, মাহবুবুর রহমান ও সারোয়ারী রহমান বাসায় ঈদ পালন করবেন।