প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১৬:৪৫
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন, যার ফলে সব মামলায় তারেক রহমান দণ্ড ও সাজামুক্ত হলেন। এর আগে গত সোমবার শুনানি শেষে আপিলের রায় দিতে ২৮ মে দিন ধার্য করেছিলেন উচ্চ আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম, আবার দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে তারেকের আইনজীবীরা ছিলেন এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, তারেক রহমানের নামে যেসব সম্পত্তি দেখানো হয়েছে, সেগুলো জ্ঞাত আয়বহির্ভূত নয় এবং কোনো সম্পত্তি বাংলাদেশের বাইরে নেই। তিনি বলেন, সেনানিবাসে মইনুল রোডের বাড়িটি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতি দমন কমিশন এটিকে অবৈধ সম্পদ হিসেবে দেখিয়েছিল, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গুলশানে থাকা আরেকটি সম্পত্তিও সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত এবং এর মূল্য মাত্র ৩৩ টাকা। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ এবং সাজা আইনগত দিক থেকে এক ধরনের প্রহসন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৪ মে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। আপিল গ্রহণের পাশাপাশি ওই দিন তাকে জামিন দিয়েও দেন হাইকোর্ট। ডা. জুবাইদা রহমানের আপিল দায়ের ৫৮৭ দিনের বিলম্বও হাইকোর্ট মার্জনা করেছে। এই বিলম্বের পরই তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুদক তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান এবং তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ আইনগত লড়াই শেষে হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে।
এ রায়ের মাধ্যমে তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী সব ধরনের সাজা থেকে মুক্তি পেলেন, যা রাজনৈতিক মহলে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিএনপির অবস্থান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি কেমন প্রভাবিত হবে, তা এখন সময়ের অপেক্ষা। এদিকে আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার স্রোত সৃষ্টি হয়েছে।