প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৮
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ঘটনার পরপরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেন। এতে জামায়াত আমির তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রোববার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান লিখেন, “গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভা মঞ্চে অসুস্থ হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং তার প্রেস সচিবকে হাসপাতালেও পাঠিয়েছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তার এই সহমর্মিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” তিনি আরও প্রার্থনা করেন, মহান আল্লাহ যেন প্রধান উপদেষ্টাকে উত্তম প্রতিদান দেন।
উল্লেখ্য, শনিবারের সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মঞ্চে ঢলে পড়েন জামায়াত আমির। পরপর দুইবার পড়ে যাওয়ার পরও তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বক্তব্য শেষ করেন। ঘটনার পরই তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি রাত ৯টার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করে বাসায় ফেরেন।
ডা. শফিকুর রহমানের অসুস্থতার খবরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি সাক্ষাৎ করেন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ফোনালাপে জামায়াত আমিরের খোঁজ-খবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন পক্ষের এমন সংবেদনশীলতা জাতীয় সংহতির ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয় বলে মত বিশ্লেষকদের।
এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনীতির বাইরে মানবিক সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ, যা ড. ইউনূসের সহমর্মিতা ও অন্যান্য নেতাদের দায়িত্বশীল আচরণে প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে এমন উদাহরণ বিরল হলেও প্রশংসনীয়।