প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:২
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারীর ‘উস্কানিমূলক ও অনাকাঙ্ক্ষিত’ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার কঠোর নিন্দা জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক পোস্টে এসব কথা বলেন এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
রাশেদ খাঁন তার পোস্টে উল্লেখ করেন, নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী আগেও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় চাঁদপুরে তার সমাবেশের সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখনও তিনি নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘সালাহউদ্দিন আহমেদ ভাইয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং নানা আলোচনার প্রেক্ষিতে তিনি অনেক আন্তরিকভাবেই নেতাদের প্রতি কথা বলেছেন।’
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারীর সাম্প্রতিক উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীরা যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত।’ তিনি এনসিপির নেতাদের উদাহরণ হিসেবে আখতার হোসেনের সততা ও সহনশীলতাকে অনুসরণের পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরে সহনশীল থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘উসকানিমূলক বক্তব্যের ফাঁদে পড়ে পরিস্থিতি খারাপ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা নিজেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা থাকা জরুরি। বিভাজনের ফলশ্রুতিতে আবার ১/১১ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে অনেক বেশি বিপদ অপেক্ষা করছে। তখন কেউ রক্ষা পাবে না। তাই সবাইকে সহনশীল ও ধৈর্যশীল হতে হবে।’
মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনের এই আহ্বান সময়ের দাবি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামাজিক উত্তেজনা দেশকে আরো গভীর সংকটে ফেলতে পারে। তাই নেতারা যেন ব্যক্তিগত মতবিরোধের বাইরে থেকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করেন, সেটাই এখন সকলের কামনা।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উক্ত বক্তব্যের কারণে কক্সবাজারে সম্প্রতি কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে যা সামাজিক অশান্তি সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এসব পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজনৈতিক নেতাদের আরও সংযম ও দায়িত্বশীলতার প্রয়োজন।
অপরদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাধারণ কর্মীরা ও সমর্থকরা সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় নিজেদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে বলেও জানা গেছে। তারা আশা করছেন, দেশের সকল রাজনৈতিক পক্ষের নেতারা যদি ধৈর্য ধারণ করে পারস্পরিক বোঝাপড়ায় এগোতে পারেন, তবে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল হবে।