প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ২৩:৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নাটকীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা এবং বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে ওঠা ধারাবাহিক অভিযোগ ও অপরাধের দায়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, “জনগণের নিরাপত্তা, ন্যায্যতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছিল। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তটি আসে ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে, যার মাধ্যমে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এই আন্দোলনের পর থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের জোর দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
সর্বশেষ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এবং ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। এই দাবি জোরালো হয় বিভিন্ন জেলা শহরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও গণশুনানির মাধ্যমে।
বিভিন্ন বিশ্লেষকের মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে।