প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০:৫২
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় এসেছে চীনের আধুনিক যুদ্ধবিমান জে-১০সি। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই যুদ্ধবিমান দিয়েই চীন ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানকে মোকাবিলা করেছে। এখন সেই একই যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
চলতি বছরের শুরুতে প্রকাশিত ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জে-১০সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। পাকিস্তানের পর এই অঞ্চলে বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দেশ, যে চীনের এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রায় ১৬টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে। এই বিমানগুলো পুরনো এফ-৭ ইন্টারসেপ্টরের স্থলাভিষিক্ত হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী ও আধুনিক করা এখন সময়ের দাবি। এজন্য সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার সংগ্রহে জোর দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আধুনিক যুদ্ধবিমান সংগ্রহে একটি প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশও এই দৌড়ে নিজের অবস্থান শক্ত করছে। তারা মনে করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনি তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দীর্ঘদিনের। সেই ধারাবাহিকতায় জে-১০সি ক্রয় হতে পারে দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়।
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগেই পাকিস্তান ২০২২ সালে ২৫টি জে-১০সি সংগ্রহ করেছে। এতে চীনের সামরিক প্রযুক্তির প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ায় আরও জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশের সম্ভাব্য এই ক্রয় সেই প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে জে-১০সি কেনা শুধু একটি সামরিক চুক্তি নয়, বরং তা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে বাংলাদেশের একটি সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।