রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে যাত্রা শুরু করল ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল, যারা দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন এবং গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে পার্টির ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, যিনি ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও পরিচিত। তার সঙ্গে ছিলেন নতুন দলটির সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম, যিনি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ঘোষণাপত্র পাঠকালে রফিকুল আমীন বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ ৫৪ বছর পরেও দেশের জনগণ এখনো বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা স্বৈরাচারবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত এবং রাজনৈতিক বৈষম্য দূর করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চায় বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি।
দলটির ঘোষিত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং সরকারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করা। এছাড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।
সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম বলেন, জনগণ যদি রাজনৈতিকভাবে সচেতন না হয়, তাহলে দেশে আবারও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী স্বৈরাচার দলকে জনগণই বিতাড়িত করেছে এবং ভবিষ্যতেও কোনো স্বৈরাচারকে তারা প্রশ্রয় দেবে না।
অনুষ্ঠানে ২৯৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পেশাজীবী অঙ্গনের প্রতিনিধি হিসেবে নতুন মুখের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। দলটি সামনে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তারের পরিকল্পনা নিয়েছে।
এই নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে দলটি ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছে।