গোয়ালন্দে ওজোপাডিকোর ছত্রচ্ছায়ায় চলছে বিদ্যুৎ চুরির রাজত্ব

বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে সম্প্রতি এক বড় ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। ২৪ জুন গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী নামে এক গ্রাহকের বাড়িতে কৃত্রিম উপায়ে বিদ্যুৎ ট্যাম্পারিংয়ের প্রমাণ পায় ওজোপাডিকোর তদন্ত দল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সংযোগ নিয়ে বাড়িতে এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ নানা ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করে আসছিলেন। অপরাধ প্রমাণিত ও স্বীকার করার পর তাকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল বিশ্বাস জানান, তিনি বোরো ধান রোপণের জন্য সংযোগের আবেদন করলেও শর্ত পূরণ করার পরও সংযোগ পেতে বাধ্য হয়ে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এজন্য তার সময় মতো চাষাবাদে বিলম্ব ঘটে।

এদিকে বদিউজ্জামান পাড়ার দিনমজুর ইউনুস শেখ জানান, সন্তানদের অনুরোধে অনেক কষ্টে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করলেও অতিরিক্ত টাকা দিতে না পারায় তার সংযোগ এক সপ্তাহ দেরিতে দেওয়া হয়। পরে ৫ হাজার টাকা দিলে তবেই সংযোগ পান।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, অনেক সময় মিটার না দেখে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা হয়। এতে করে বিলের সঠিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

গোয়ালন্দের দায়িত্বপ্রাপ্ত আবাসিক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিদ্যুৎ আইনের ২০১৮ সালের ধারা অনুযায়ী, মিটার ট্যাম্পারিং করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। এই অভিযোগে জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি বন্ধ করতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন। স্থানীয়দের অভিযোগ আমলে নিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।