শিবিরের গণমিছিলের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: শুক্রবার ৩১শে জানুয়ারী ২০২৫ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিবিরের গণমিছিলের ঘোষণা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সংগঠনটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণমিছিলের ডাক দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  


ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে এ গণমিছিল শুরু হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  


ছাত্রশিবিরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতি, গুম-খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার ও দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের প্রতি সংহতি জানাতে এই গণমিছিল। সংগঠনটি দাবি করেছে, ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বহু মানুষ নিখোঁজ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে।  


এ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের মৌলিক অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে, তাই এ কর্মসূচির মাধ্যমে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে।  


এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির। তারা বলেছে, গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিলে জনগণের ক্ষোভ আরও বাড়বে। সংগঠনটি বলছে, জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্রসমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।  


ছাত্রশিবিরের নেতাদের মতে, দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সকল শ্রেণির জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা অভিযোগ করেছে, সরকারের দুর্নীতি ও দমননীতির কারণে দেশের সাধারণ মানুষ আজ অসহায়। তাদের দাবি, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা না গেলে জনগণের ক্ষোভ আরও বাড়বে।  


এ কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনটি দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বার্তা দিতে চায়। নেতারা বলেছেন, এ আন্দোলন জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই, যেখানে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। তারা আশা করছেন, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে এবং জনগণের দাবিগুলো গুরুত্ব পাবে।  


গণমিছিলকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরবেন এবং জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।