বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে সংস্কারের জন্য নির্বাচন বন্ধ রেখে অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়া যায় না।” শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের অস্থিরতা কমাতে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। সংস্কার নিয়ে কাজ করাটা ভালো। তবে সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। বিএনপির এ বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে দেশে যে অস্থিরতা চলছে তা অনেকটাই কমে যাবে যদি একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।”
বিএনপি মহাসচিব আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিএনপি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। প্রতিবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গুম, খুন, ও বিনা বিচারে হত্যার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। কিন্তু সরকার এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “অনেকে রাজনীতিবিদদের দোষ খুঁজে বেড়ায়। অথচ প্রকৃত সমস্যাগুলো তুলে ধরার কেউ নেই। জনগণের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে সরকারের প্রতি আস্থা ক্ষীণ হয়ে যায়।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “বিএনপি জুলাই বিপ্লবে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।”
তিনি বলেন, “বিএনপি বর্তমান সরকারের সফলতা চায়। জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে সঠিক পথে পরিচালিত হতে হবে।”
মির্জা ফখরুলের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণের একমাত্র পথ হলো একটি গ্রহণযোগ্য ও নির্বাচিত সরকার গঠন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি আপসহীন থেকে কাজ করে যাবে বলে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।