প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১৮:১৬
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার অভিযোগ, সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার একটি চক্রান্ত চলছে। তিনি মনে করেন, দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা আবারও বাধাগ্রস্ত হতে চলেছে।
মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে এক ধরনের অস্থিরতা ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে এবং গোত্রে গোত্রে বিভক্তির পরিবেশ তৈরি করছে। তার মতে, সরকারের ভেতরে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে একটি ষড়যন্ত্রমূলক নকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যাতে প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের মুখোমুখি হয়ে পড়ে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের এই কার্যক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সীমান্তের ওপার থেকেও ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সজাগ থাকতে হবে এবং সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে নানা আয়োজন চলবে। এর মধ্যে ২৭ ও ২৮ মে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের সেমিনার’ ও ‘সমাবেশ’।
রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৯ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা হবে এবং ৩০ মে সকালে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। ওই দুই দিন ছাড়া মৃত্যুবার্ষিকীর অন্যান্য কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
বিএনপির এই অভিযোগ ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা নির্ভর করছে সরকারের অবস্থানের ওপর।