বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা ও গণহত্যা করে দেশের জনগণের কাছে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেনি।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালে এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। আজ আমরা সেই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সব সময় আশাবাদী, ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আমরা তার সহযোগিতা করছি। জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।”
মির্জা ফখরুল বিএনপির পক্ষ থেকে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মাগফিরাত কামনা করেন এবং জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক লক্ষ্য পূরণে বদ্ধপরিকর থাকার কথা জানান। তিনি বলেন, “আজকের দিনে আমরা শপথ নিয়েছি, যে স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করব। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার মাধ্যমে আমাদের পথ প্রদর্শন করেছিলেন।”
তিনি আরও জানান, বিএনপি ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে নতুন রাজনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। “আমরা এই সুযোগ সদ্ব্যবহার করতে চাই এবং একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই,” বলেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালামসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।