গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা দু’পক্ষের সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে গেছে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে মাওনা চৌরাস্তা মিজান গার্ডেন এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় বিএনপির বেশি কিছু নেতাকর্মীকে অস্ত্র মহড়া দিতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংঘর্ষে জড়িতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা ছিল। ওই সভায় একটি পক্ষকে না ডেকে সভা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা পর অপরপক্ষ সভাস্থলে গিয়ে তাদের না ডাকার কারণ জানতে চাইলে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ওই কমিউনিটির সেন্টারে বুধবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলা বিএনপি’র প্রথম সভা শুরু হয়। সভা শুরুর ঘন্টাখানেক পর বঞ্চিত সদস্যরা সভাস্থলে যায়। সেখানে তাদেরকে না ডাকার কারণ জানতে চাইলে সভায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঢিল ছোঁড়াছোঁড়ি-হাতাহাতি ও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রাকিব ও অপর একজন কর্মী রক্তাক্ত আহত হয়। তাদেরকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে তেলিহাটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোড়ল জানান, দলীয় নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সকল ইউনিয়নসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সদস্য থাকার কথা। কেন্দ্রীয় বিএনপির’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে দলীয় বিধি মানতে নির্দেশ দেওয়ার পরও বঞ্চিত সদস্যদের ডাকা হয়নি। দলীয় কার্যালয়টি তেলিহাটী ইউনিয়নের মাওনা চৌরাস্তা মিজান গার্ডেন ভবনে।
এছাড়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন বিএনপি’র মধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি এবং গোসিংগা ও কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে এ সভাটি করার চেষ্টা করা হয়। বাকি ৬ ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদককে এ সভায় ডাকা হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগগুলো মিথ্যা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সময় দুই পক্ষকেই দা, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির ও সদস্য সচিব আক্তারুল আলম মাস্টারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।
মিজান গার্ডেনের স্বত্তাধিকারী মিজানুর রহমান জানান, তেলিহাটী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহন মোড়ল তার লোকবল নিয়ে বিএনপি কার্যালয় ছাড়াও তিনটি কক্ষের আসবাবপত্র ও জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো পক্ষকেই পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দুইজন আহত ও বেশ কিছু আসবাপত্র ও গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে। কোনো লিখিত অভিযোগ বা গ্রেপ্তার নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।