ভোটারদের বৈঠার হুঁশিয়ারি আ.লীগ প্রার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০৬ অপরাহ্ন
ভোটারদের বৈঠার হুঁশিয়ারি আ.লীগ প্রার্থীর

ইউপি নির্বাচনে নৌকার জয়ের জন্য প্রতি কেন্দ্রে ২০০ করে বৈঠা পাঠানো হবে বলে ভোটারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। 


অভিযোগ উঠেছে প্রতিটি নির্বাচনী প্রচার সভাতেই ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে বৈঠা হাতে তার কর্মীরা থাকবে বলে ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এতে ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 


মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দালাল বাড়িতে ভোটারদের সঙ্গে এক উঠান বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দেন আবদুল হাই। ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মাঝে সমালোচনার ঝড় ওঠে। 


উঠান বৈঠকে হুঁশিয়ারির দিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈঠাই যদি লই তোগোরে আর খোঁজ কইরা পাওয়া যাইবো না। নৌকা পাইয়া যদি ঘুমাইয়া থাকতাম, হেইডা আছি এক জিনিস, তোরা মনে করাইয়া দিছো বৈঠার কথা। এখন থেকে নৌকারে জিতানোর লইগা প্রতি কেন্দ্রে ২০০ কইরা বৈঠা পাঠানো হবে। ইনশাআল্লাহ। সবাই ৫ তারিখ নৌকায় ভোট দিবেন, কোনো ঝামেলা হলে কেন্দ্রের বাইরে নৌকার বৈঠা হাতে আমার কর্মীরা থাকবো তাগোরে কইবেন, কাউরে ছাড় দেয়া হইবো না।’ 


মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি-১ মনির মাস্টার, সহ-সভাপতি-২ মোশাররফ মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক চুন্নু চিকিৎসক, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুল। 


আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই বলেন, ‘দলিয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থীরা নানাভাবে আমার ভোট নষ্ট করার জন্য ভোটারদের কাছে বলে বেড়াচ্ছে। ভোলার অভিভাবক তোফায়েল আহমেদ আমাকে দল থেকে নৌকা দিয়েছে কিন্তু বিজয়ের জন্য বৈঠা দেননি। তাই তাদের উদ্দেশ্য ওইদিন মুখ ফসকে ওই কথাগুলো বেড়িয়ে গেছে। এখানে ভোটারদের উদ্দেশ্য করে আমি কিছুই বলিনি।’ 


ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, ‘উঠান বৈঠক কিংবা গণসংযোগে ভোটার ও কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। নির্বাচন কালীন সময়ে কোনো প্রার্থী এরকম বক্তব্য দিতে পারেন না। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 


উল্লেখ, আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ১১ নং ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আবদুল হাই, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর হাফেজ মো. কালিমুল্লাহ, এছাড়াও মো. মোসলেউদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান, মো. মোস্তফা কামাল, মো. হারুনর রশিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।