প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে বামজোটের কর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। জোটের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং দুই পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করে বাম জোটের নেতাকর্মীরা মৎস্য ভবন মোড়ে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এ দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছে বামজোট। এরই অংশ হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টিসহ বাম জোটভুক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছিলেন।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণংসহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমার মাথা ফেটে গেছে। অনেকে আহত হয়েছেন। বেশ ক’জনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বাম জোটের নেতাকর্মীদের থামাতে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। তারা সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন জোটে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ বাম জোটের নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।