বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের অনুসারী ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পাশাপাশি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্যাম্পাসের (বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) দুই সাংবাদিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সল্প সময়ের মধ্যেই নিয়ন্ত্রনে আসে। সেইসাথে আহতদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোন কমিটি গঠন হয়নি। যে যার মতো করে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর গ্রুপগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলাদা আলাদা কর্মসূচিও পালন করে আসছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রায়ই বিবাদে জড়ায় পক্ষগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসেও আলাদা কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় পক্ষগুলো। এ নিয়ে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর নীচতলায় রক্তিম-ইভান এবং সিফাত-রিদম ছাত্রলীগের আলাদা দুটি গ্রুপ বিবাদে জড়ায়। যা কথা থেকে হাতাহাতি ও মারামারি পর্যন্ত গিয়ে গড়ায়। এসময় ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন ক্যাম্পাসে থাকা সাংবাদিকরা। যেখানে আজম খাঁন ও তারিকুল ইসলাম নামে দুজন সংবাদকর্মী মারধরের শিকার হন।
হামলায় আহত আজম খাঁন (আবির) জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটি মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের অনুসারী ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দৃশ্য ধারণ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আল সামাদ শান্ত সহ ৩-৪ জন ছাত্রলীগের কর্মী সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেগুলো আনতে গেলে এলোপাথারি মারধর করা হয় তাদের। তবে মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে আল সামাদ শান্তর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, কর্মসূচি পালন নিয়ে সংঘর্ষ নয়, তবে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো। তখন আমাদের এবং পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুইগ্রুপকে দুদিকে বিভক্ত করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, যতটুকু জেনেছি। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সময় সংবাদকর্মীরা ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করছিলো। এসময় একজন সাংবাদিকের মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় হয়তো তার সাথে কিছু একটা হয়েছে। তবে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই সেটি আমরা উদ্ধার করে সাংবাদিককে দিয়ে দিয়েছি। আর সাংবাদিক আহত হওয়ার বিষয়ে খোজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা আমরা বলেছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।