দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারও হরতালে ফিরলো বিএনপি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয় তারা। পাঁচ বছর আগে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে হরতাল অবরোধ থেকে বের হয়ে আসা দলটি আবার সিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়েই হরতালে ফিরলো।
এর আগে ২০১৫ সালে বিশ দলীয় জোটের ডাকা দেশজুড়ে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জানুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার হত্যার ডাকে বিএনপি। সেবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব, সরকারের নাশকতার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই হরতাল পালন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই অবরোধ প্রত্যাহার না করেই ওই বছর ২৮ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। সেবার ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের আনিসুল হকের কাছে পরাজিত হন বিএনপির তাবিথ আওয়াল। আর দক্ষিণে আওয়ামী লীগের সাঈদ খোকনের কাছে পরাজিত হন জেলে থাকা বিএনপির মির্জা আব্বাস।
২০ দলীয় জোটের ডাকা সেই অবরোধ আজো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেনি তারা। তবে ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনের পর থেকে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি আর পালন করনি বিএনপি। পাঁচ বছর পর সেই ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভোটে হেরে আবারো হরতালে ফিরলো দলটি। শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভয়াবহ রকমের কারচুপি, জালিয়াতি জবরদস্তি করে নির্বাচনের রায়কে পদদলিত করে, একেবারেই তাদের দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করে, লুট করে ফলাফল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। এর প্রতিবাদে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করছি। ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি ঢাকাবাসী তাদের অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে এ হরতাল পালন করবেন। আর গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই হরতাল।
এদিকে ব্যর্থতা ঢাকতেই বিএনপি অগণতান্ত্রিকভাবে হরতাল আহ্বান করেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। হরতাল প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তড়িঘড়ি করে হরতাল ডেকেছে তারা। তবে জনবিরোধী যে কোনো কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে থাকবে আ লীগ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।